এককালের অদেখা বিষয় বিজ্ঞানের কল্যাণে এখন দেখতে পাচ্ছি : ড. অনুপম সেন

প্রিমিয়ার ভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন ফেয়ারের সমাপনী

| শুক্রবার , ৮ মার্চ, ২০২৪ at ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেছেন, এককালে আমরা যা দেখতে পাইনি, বিজ্ঞানের কল্যাণে এখন তা দেখতে পাচ্ছি, উপলব্ধি করতে পারছি। তিনি বলেছেন, বিজ্ঞানের ব্যবহারের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। বিজ্ঞানের অজস্র আবিষ্কার মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হলেও বিজ্ঞানের অনেক আবিষ্কার মানুষের জন্য ক্ষতিকারকও। যেমন আণবিক বোমা পৃথিবীর জন্য, মানবজাতির জন্য কখনো কল্যাণকর নয়। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন ফেয়ারের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিভাগের চেয়ারম্যান টুটন চন্দ্র মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপউপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, ট্রেজারার এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ, আইইবিচট্টগ্রাম সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এম.. রশিদ, ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. নওশাদ আমিন। ড. সেন উল্লেখ করেন, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিজ্ঞান ও টেকনোলজির জ্ঞান ছিল বলে তারা এই উপমহাদেশ প্রায় ২০০ বছর শাসন করতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষ জনতার সামনে উদাত্ত কণ্ঠে যেভাষণ দেন, তা পৃথিবীর মধ্যে স্বাধীনতার শ্রেষ্ঠ ভাষণ।তিনি বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন থেকে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের অ্যাক্রেডিটেশন অর্জনকে গৌরবের বলে উল্লেখ করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপউপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা বলেন, আমরা এমন একটি উপলক্ষে উপস্থিত হয়েছি, যেটি তারুণ্য, মেধা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সমন্বিত প্রকাশ। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন না হলে আমাদের এতো মেধাবী তরুণের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর সুযোগ ঘটতো না। ট্রেজারার প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ স্কুল পর্যায়ের ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের ইনোভেটিভ প্রজেক্টের প্রশংসা করেন। প্রকৌশলী এম.. রশিদ প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগ বায়েট থেকে যেঅ্যাক্রেডিটেশন অর্জন করেছে, তা বজায় রাখার তাগিদ দেন।প্রফেসর ড. নওশাদ আমিন বলেন, আমাদের দেশের, আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস’ার উন্নয়নের জন্য আমাদের ইনোভেটিভ হতে হবে। ইনোভেশন যেন ইনভেনশন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফেয়ারের ৭টি ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের ৫০টি পাবলিকপ্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলকলেজ থেকে ৩৩টি দলকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানুষের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে ব্যবসা পরিচালনা করে ওয়েল গ্রুপ
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের মাধ্যমে মনশক্তিকে জাগিয়ে তুলতে হবে