নানা আয়োজনে আর বর্ণিল সাজে সিআইইউতে বরণ করে নেওয়া হল ঋতুরাজ বসন্তকে। গান, কবিতা, নৃত্য আর আড্ডায় যেন মুখর হয়ে উঠেছিল পুরো একটি দিন। সম্প্রতি জামাল খানের ক্যাম্পাসে ‘বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব’ শিরোনামে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। কালচারাল ক্লাব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বসন্ত মানেই প্রাণের উচ্ছ্বাস। আর সেই উচ্ছ্বাস যদি ছড়িয়ে পড়ে প্রকৃতির নতুন রঙে তাহলে তো কথাই নেই! দু’পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানের প্রথমেই ছিল পিঠা উৎসব। এতে ঠাঁই পেয়েছিল গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া মজাদার সব পিঠা। আর এগুলোর নামও বেশ চমৎকার! ফুল ঝুরি, মধু পুলি, পাটিসাপ্টা, ঝাঝড়া পিঠা, নাড়ু, ডিম সুন্দরী, নকশি পিঠা, ছিটা পিঠা… আর কতো কী!
শেষে ছিলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বাঙালির বহু বছরের এই সংস্কৃতি যেন তরুণ প্রজন্ম ভুলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান। এই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, রেজিস্ট্রারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন নীরা, জিনান, শর্মী, সানজানা, সিয়াম, হীরামনি, রেজওয়ান, রিয়া, বর্ষা, তন্দ্রা, অরিজিৎ, ইশমাম, জামিল, সাকিব, পূজা, সাবা, পূর্ণা, আলপনা, শ্রেয়া, আলভি, পুষ্পিতা, স্বপ্ন প্রমুখ।কালচারাল ক্লাবের আহ্বায়ক ড. রোবাকা শামসের বলেন, বসন্ত মানেই উৎসবের আমেজ। আর সিআইইউ বরাবরই এমন আয়োজনের মাধ্যমে বাঙালির সংস্কৃতিকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












