সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর অগ্নিকাণ্ড কেন হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিন গতকাল মঙ্গলবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রথম কার্য–অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডে রেস্তোরাঁয় ঠাসা গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা নাড়িয়ে দিয়ে যাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। ওই ঘটনার পর কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বহুতল ভবনে নিয়ম বহির্ভূতভাবে গজিয়ে ওঠা হোটেল–রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিচ্ছে সিটি করপোরেশন, রাজউক, পুলিশ–র্যাব। এর মধ্যেই রাজধানীর ওয়ারীতে একটি রেস্তোরাঁয় ঘটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এছাড়া চট্টগ্রামে পুড়ে ছাই হয়েছে একটি চিনি কারখানা।
অগ্নিকাণ্ডের এসব ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, এটাই আমি বলেছি ডিসি সাহেবদের। উনারাই তো করে (খতিয়ে দেখা)। আমরা এসব ব্যাপারে ইনভল্ভ হই না, আমরা শুধু উদ্ধার কাজে ইনভল্ভ হই। (ষড়যন্ত্র) উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এত কাকতালীয় ব্যাপার, একটার পর একটা হয়ে যাবে। যদিও সিজনটা ওরকমই, এখন ড্রাই সিজন। সেজন্যই সাধারণত হয়। তবু এটা দেখা উচিত। খতিয়ে দেখা মানে, এটা ষড়যন্ত্রের জন্য শুধু না, যে শিথিল জায়গাগুলো আছে ওগুলোকে শক্ত করা, যাতে করে ওটা আর না হতে পারে।
ক্রস বর্ডার কিলিং বিষয়ে এক প্রশ্নে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ক্রস বর্ডার কিলিং তো আসলে পরিকল্পিত কিছু না। এক্ষেত্রে দুই পক্ষেরই দোষ থাকে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদেরও দোষ, বর্ডারের ওই পাশের ওদেরও দোষ। এটা কিলিং না, ইনসিডেন্ট বলতে পারেন। এই যে এখানকার স্মাগলাররা যায়। স্মাগলাররা কতটা সাহসী, আমার মনে হয় মাঝে মাঝে এদেরকে আর্মিতে রিক্রুট করে নিই। কারণ এরা আসলেই এত রিস্ক নিয়ে যায়, আমি জানি ইন্ডিয়ান বিএসএফ রীতিমতো আমাদের স্মাগলারদের ভয় পায়। অনেক সময় তারা আক্রমণ করে বসে বিএসএফকে, তখন গুলি করতে বাধ্য হয়। আমাদের তরফ থেকেও যেমন গুলি হয় মাঝে মাঝে।
বর্তমানে বর্ডার হাটের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলেও সময় জানান তিনি। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন অবস্থা আমাদের খুবই ভালো।











