যুবলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে মারধর, মানববন্ধনেও হামলা

১০-১৫ জনকে কুপিয়ে আহত, ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক কাউন্সিলর টিনুসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৫ মার্চ, ২০২৪ at ৭:৫০ পূর্বাহ্ণ

নগরীর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এলাকায় দোকান থেকে এক যুবলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় মারধরের প্রতিবাদে গতকাল সোমবার মানববন্ধন চালাকালে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। এ সময় মানববন্ধনকারীদের উপর দা, ছুরি, কিরিচ, লোহার রড ও লাঠি দিয়ে হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসীরা ছাত্রলীগযুবলীগের ১০১৫ জন নেতাকর্মীকে আহত করেছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিশেষ করে আরাফাত হোসেনের মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে এবং মিজানুর রহমান রহিমের নাকসহ বিভিন্ন স্থানে কুপিয়েছে। এই দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চমেক হাসপাতালে ভর্তি আরাফাত হোসেনের মাথায় ২০টির বেশি সেলাই হয়েছে। তাকে চমেক হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে এবং মিজানুর রহমান রহিম নাক, কান ও গলা বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে নগরীর পাঁচলাইশ থানা মোড়ে হামলার ঘটনা ঘটে। পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, হামলার ঘটনায় কাউন্সিলর নুর মোস্তাফা টিনুসহ ছয় জনকে নামীয় অজ্ঞাতনামা আরও ১০১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। নুরুল আজিম রনি গ্রুপের ছাত্রলীগযুবলীগের নেতাকর্মীর ওপর কাউন্সিলর নুর মোস্তাফা টিনু গ্রুপের ছেলেরা এই হামলা চালায়।

অভিযোগ করা হয়, গত রোববার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চকবাজার এলাকার মেডিকেলের পূর্ব গেইটের সামনে ফার্মেসি থেকে মেহেদি হাসান নামে এক যুবলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে যায় কাউন্সিলর টিনুর লোকজন। তার আগে মেহেদির বন্ধুর মোবাইলে ফোন করে হুমকি ধমকি দেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর টিনু। এর কিছুক্ষণ পরই টিনুর ১০১৫ জন লোক এসে মেহেদিকে তুলে নিয়ে যায় কাউন্সিলর কার্যালয়ে। সেখানে তাকে মারধর করার একপর্যায়ে সিনিয়র নেতাদের ফোনে মেহেদিকে পাঁচলাইশ মোড়ে এনে ছেড়ে দেওয়া হয়। যুবলীগ নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে গতকাল পাঁচলাইশ থানা মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে। ওই মানববন্ধনেও সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে ১০১৫ ছাত্রলীগযুবলীগের নেতাকর্মী আহত হন। যুবলীগ নেতা মেহেদি হাসান বলেন, আমার ওপর হামলার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনের আয়োজন করে। সেখানে কাউন্সিলর টিনুর ৮০ থেকে ১০০ জন অনুসারী সশস্ত্র অবস্থায় অর্তকিত হামলা চালায়। এতে আমাদের ১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৫ টাকা দামে ৩০ কেজি করে চাল পাবে প্রত্যেক কার্ডধারী পরিবার
পরবর্তী নিবন্ধআবাসিক হোটেল থেকে বিদেশি নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার