প্রাইম ব্যাংক এমডির কাছে ব্যাখ্যা তলব আদালতের

ব্যবসায়ীর ৫০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৪ মার্চ, ২০২৪ at ৭:১৯ পূর্বাহ্ণ

খাতুনগঞ্জের জালাল এন্ড সন্সের মালিক ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মদ আবুল বাশারের ৫০ কোটি টাকার সুদ মওকুফ করায় প্রাইম ব্যাংকের এমডির কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছেন আদালত। একই সাথে সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কিনা, নালিশী ঋণের টাকা পাচার হয়েছে কিনা তা দুইজন যুগ্ম পরিচালকের সমন্বয়ে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালককে নির্দেশ দেওযা হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপী প্রতিষ্ঠান জালাল এন্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী হাজী মোহাম্মদ আবুল বাশারের ৫৮ কোটি টাকা মূল ঋণের বিপরীতে ২০১৪ সাল থেকে আরোপিত সকল সুদ অর্থাৎ প্রায় ৫০ কোটি টাকা মওকুফ করে দিয়েছে প্রাইম ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা। ১৬% হারে সুদ আদায়ের শর্ত থাকলেও সম্পূর্ণ বিনা সুদে মূল টাকা ২০২৪ থেকে ২০৩৩ সালের মধ্যে ১৯টি ছয়টি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দিয়ে আদালতে সোলেনামা দাখিল করা হয়েছে। ঋণ গ্রহণের নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে মূল ঋণের কোনো টাকা পরিশোধ না করলেও হাজী মোহাম্মদ আবুল বশরের সকল সুদ মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে। একজন ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপীর যাবতীয় সুদ মওকুফের এ ন্যায্যতা নিয়েই মূলত আদালত প্রশ্ন তুলেছে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২ মার্চ সিসি (হাইপো) খাতে ৮ কোটি টাকা এবং টাইম লোন খাতে ৫০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করে প্রাইম ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা। নির্ধারিত সময়ে উক্ত ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ সুদসহ ৭৩ কোটি ৬৮ লাখ ২২ হাজার ৮১৮ টাকা আদায়ের লক্ষে ব্যবসায়ী হাজী আবুল বাশারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই কোটি ৮৫ লাখ টাকার সার আত্মসাৎ, গুদাম রক্ষকের দেশত্যাগ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ৮০০ গণপরিবহনের রুট পারমিট বাতিল হচ্ছে