২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
রোববার (০৩ মার্চ) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এদিন বেলা ২টা ২০ মিনিটে মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বরে হাজির হন তিনি। এ সময় ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। আড়াইটার পর শুনানির জন্য এজলাসে প্রবেশ করেন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এই মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। আজ সেই প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানির কথা রয়েছে।
মামলায় দুদক ১৩ জনকে আসামি করলেও অভিযোগপত্রে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসানের নাম যুক্ত করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, সাবেক এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান এবং গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মাইনুল ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে পারভীন মাহমুদ জামিনে রয়েছেন। বাকি ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।