চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভাকে অবৈধ ঘোষণা ও বয়কট একাংশের

চবি প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ২:৪২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির মেয়াদ সম্প্রতি শেষ হওয়ায় শিক্ষক সমিতিকে মেয়াদোত্তীর্ণ আখ্যা দিয়ে সাধারণ সভা বয়কট করেছে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ (হলুদ দল)।

তবে সাধারণ সভার এজেন্ডার (আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকদের পারিতোষিক বৃদ্ধি) ব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ মামুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদালয়ের মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা আহবানের কোন নৈতিক এবং আইনি বৈধতা না থাকায় বাঙলি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ তথা হলুদ দলের পক্ষ থেকে আজ (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আহবান করা জরুরি সাধারণ সভা বয়কট করা হয়।

উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ চবি’র শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পর্ষদের মেয়াদকাল এক বছর।

সে অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি এ শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পর্ষদের মেয়াদ শেষ হয়। এবং ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ চবি পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর মো: এমদাদুল হককে প্রধান করে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় শিক্ষক সমিতির নতুন কার্যনির্বাহী পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য। এ কমিশন শিক্ষক সমিতির নতুন কার্যনির্বাহী পর্ষদ নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।

এমতাবস্থায় মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভা আহবান করার কোন নৈতিক ও সাংবিধানিক বৈধতা নাই। তাই, হলুদ দলের পক্ষ থেকে এ অবৈধ সভা বয়কটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

তবে, যে এজেন্ডা (আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকদের পারিতোষিক বৃদ্ধি) নিয়ে এ অবৈধ সভা আহবান করা হয়েছে, সে বিষয়ে হলুদ দলের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। হলুদ দল মনে করে আগামী ২ মার্চ, ২০২৪ সাল থেকে অনুষ্ঠিতব্য প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনের জন্য সাধারণ শিক্ষকদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে পারিতোষিক নির্ধারণ করেছেন, তা শিক্ষকদের জন্য একেবারেই সম্মানজনক হয়নি।

তাই, হলুদ দলের পক্ষ থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক সমিতির আহবান করা অবৈধ সাধারণ সভা বয়কট করার পাশাপাশি আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকদের পারিতোষিক ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য অংশীজনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সম্মানজনক ও সমানুপাতিক হারে বাড়ানোর জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে অবৈধ কাঠসহ ৫টি ট্রাক জব্দ
পরবর্তী নিবন্ধনগরীতে অসামা‌জিক কার্যকলাপের দায়ে ২৭ নারী-পুরুষ আটক