মিয়ানমারে সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশে অস্ত্রসহ প্রবেশকারী রোহিঙ্গার মধ্যে ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে অপর ১১ জনকে তিন দিনের রিমান্ডের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার তিন দিনের রিমান্ড শেষে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যার আদালতে তাদের হাজির করা হয়। এ সময় বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়ার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, প্রথম দফায় নিয়ে যাওয়া ১১ রোহিঙ্গা তিন দিনের রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। এদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় অপর ১১ রোহিঙ্গাকে সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদের তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একই সঙ্গে প্রথম দফায় ১১ জনের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে যাচাই–বাছাই করা হবে।
এর আগে প্রথম দফায় ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে এই ১১ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সংঘাতের মধ্যে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যের পাশাপাশি অস্ত্রধারী ২৩ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছিল। ৯ ফেব্রুয়ারি বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের পালংখালী বিওপির নায়েব সুবেদার মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করে।
পরের দিন ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা শুনানি শেষে ২২ জনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২৩ রোহিঙ্গার মধ্যে অসুস্থ একজন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি।