সমাজসেবা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক কাজী নাজিমুল ইসলাম বলেছেন, একটি সমাজকে সাজাতে নারী–পুরুষ সবাইকে অবদান রাখতে হবে। কাউকে বাদ দিয়ে বা পিছিয়ে রেখে আমরা এগুতে পারি না। সরকার নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে কাজ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের এগিয়ে যেতে হবে। নারীদের এগিয়ে দিতে নেপথ্যে পুরুষদের উদার ও উন্নত মন মানসিকতা অবশ্যম্ভাবী। গীমাস সংগঠন নারীদের ঐক্যবদ্ধতা গড়তে ও সচেতনতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। তিনি ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে গীতাঞ্জলি মাতৃ সম্মিলনীর (গীমাস) ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন।
সংগঠনের উপদেষ্টা শিল্পপতি স্বপ্না চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাতা প্রভাষক পলাশ কান্তি নাথ রণীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ লোকনাথ ব্রহ্মচারী সেবক ফোরাম–চট্টগ্রামের সভাপতি শিবু প্রসাদ দত্ত। প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট বাগ্মী, গবেষক ও নাট্যব্যক্তিত্ব সুদর্শন চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনিয়র সহকারী জজ জয়ন্তী রাণী রায়, সমাজসেবক দীপেন সাহা, লায়ন ডা. নারায়ণ চন্দ্র নাথ, সংগঠক সমীর মহাজন লিটন, সমাজহিতৈষী ডা. রিটন দাশ, সংগঠক বাদল দাশ, গীমাস পৃষ্ঠপোষক সুমন কুমার বণিক, অধ্যাপক কৃষ্ণা দাশ, অধ্যাপক রুমা পাল ও ডা. মৌমিতা দাশ।
অনুষ্ঠানে সহকারী জজ শ্রীকান্ত রায়, বিএসটিআই উপ–পরিচালক দেবী দাশ, পুলিশের ইন্সপেক্টর শিল্পী রাণী দেব নাথ, মার্শাল আর্টিস্ট মারিয়া চক্রবর্তী ও সমাজসেবক সংগঠক রাধারাণী দেবী টুনটু মুন, সংগীত শিল্পী কেয়া লাহিড়ী, নিশা চক্রবর্তী, সোমা দেবী ও রূপা রায় চৌধুরীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। অন্যান্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল–মঙ্গলদীপ প্রজ্বালন, কৃতিজন সংবর্ধনা, চিকিৎসা অনুদান, স্মরণিকা প্রকাশ, শীতবস্ত্র বিতরণ, মুকাভিনয়, শিক্ষাবৃত্তি, নৃত্যনুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণ। শেষে সকলের মতামতের ভিত্তিতে অর্চনা ভঞ্জকে সভাপতি ও অধ্যাপক শুক্লা দেবীকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কার্যকরি কমিটি ঘোষণা করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।