জয়রথ ছুটছেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। আগের তিন রাউন্ডে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রাম এসেছিল চ্যাম্পিয়নরা। আর চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে পয়েন্ট আরো দুটি বাড়িয়ে নেয়। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবার মাঠে নেমে এবার হারিয়েছে খুলনা টাইগার্সকে।
গতকাল জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৭ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্সকে। এই জয়ের ফলে ৯ ম্যাচ শেষে কুমিল্লার পয়েন্টও রংপুর রাইডার্সের সমান ১৪। কিন্তু রান রেটে এগিয়ে থাকায় এক নম্বরে রংপুর রাইডার্স। ফলে এই দুই দলের মধ্যেই চলবে প্রথম দুটি স্থানের জন্য লড়াই। অপরদিকে চট্টগ্রামের মাঠে টানা দুই ম্যাচেই হারল খুলনা। আগের দিন রংপুর রাইডার্সের কাছে হারের পর গতকাল হারল কুমিল্লার কাছে। ৯ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তাই তাদের অবস্থান পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে। শেষ চারে যেতে হলে পরের ম্যাচগুলোতে জিততেই হবে খুলনাকে।
গতকাল কুমিল্লার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের বিশেষ করে তাওহিদ হৃদয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিং কুমিল্লার জয়কে সহজ করে দেয়। এক ম্যাচ আগে ঢাকার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করা হৃদয় এই ম্যাচেও খেললেন ৪৭ বলে ৯১ রানের বিষ্ফোরক এক ইনিংস। আর তাতেই সহজ জয় কুমিল্লার।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামা খুলনার শুরুটা ভাল হয়নি। দুই ওপেনার আলেক্স হেলস এবং আফিফ যোগ করেন ৩২ রান। ২২ রান করা হেলসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ফোর্ড। দ্বিতীয় উইকেটে আফিফ এবং এনামুল বিজয় যোগ করেন ৩৭ রান। ১৮ রান করে ফিরেন বিজয়। পরের ওভারে ফিরেন আফিফ। ব্যাটিংয়ে প্রমোশন নিয়ে ওপেন করতে নামা আফিফ করেন ৩৩ বলে ২৯ রান। চতুর্থ উইকেটে লুইস এবং মাহমুদুল হাসান জয় ৩৬ বলে যোগ করেন ৫৭ রান। এদুজনের ব্যাটে বড় ইনিংসের স্বপ্ন দেখলেও শেষ পর্যন্ত বড় ইনিংস গড়তে পারেনি খুলনা। পরপর দুই ওভারে ফিরেন দুজনই। লুইস ২০ বলে ৩৬ আর জয় ১৯ বলে করেন ২৮ রান। এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকলে শেষ পর্যন্ত ১৬৪ রানে থামে খুলনা টাইগার্স। ১১ বলে ২০ রান করেন ওয়েইন পারনেল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মঈন আলি এবং ম্যাথু ফোর্ড।
জবাব দিতে নামা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স দ্বিতীয় ওভারেই হারায় অধিনায়ক লিটন দাশকে। ২ রান করে ফিরেছেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে জেকস এবং তাওহিদ হৃদয় মিলে যোগ করেছিলেন ৪১ রান। ১৮ রান করা জেকসকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙেন মুকিদুল। তৃতীয় উইকেটে হৃদয় আর জনসন চার্লস মিলে যোগ করেন ৪০ রান। ১৩ রান করে চার্লস ফিরলেও দলকে টানতে থাকেন হৃদয়। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন জাকের আলি অনিক। দুজন মিলে অবিচ্ছিন্ন ৮৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। হৃদয় ৪৭ বলে ৭টি চার এবং ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৯১ রান করে অপরাজিত থাকেন। অপরদিকে জাকের আলি অনিক ৩১ বলে ৪০ রান করে। তিনি ২টি চার এবং ৩টি ছক্কা মেরেছেন।












