পেকুয়া থানার তিন পুলিশের ব্যাখ্যা তলব আদালতের

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর কোমরে রশি

চকরিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

একটি মারামারির মামলায় পেকুয়া সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লাহ ঘোনার এলএলবি পড়ুয়া শিক্ষার্থী হামিম মো. ফাহিমের কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়ার বিষয়ে যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. জাহিদ হোসাইন। দুই কর্মদিবসের মধ্যে পেকুয়া থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় গত মঙ্গলবার দেওয়া আদালতের এই আদেশে। সেই হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার এই ব্যাখ্যা দিতে হবে পেকুয়া থানার তিন পুলিশকে।

উল্লেখ্য, গত রোববার দুপুরে কোমরে রশি ও হাতকড়া পরানো অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে আদালতে তোলা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী মিফতাহ উদ্দিন আহমদ। তিনি জানান, ওইদিন আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মিফতাহ উদ্দিন বলেন, এলএলবি পড়ুয়া শিক্ষার্থী ফাহিমকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়ার ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। সেই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আসলে পেকুয়া থানা পুলিশের কাছে এ নিয়ে আইননানুগ ব্যাখ্যা তলব করা হয়।

ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ পাওয়া পেকুয়া থানার তিনজন হলেন পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ, কর্তব্যরত কর্মকর্তা (ডিউটি অফিসার) এবং পেকুয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রইস উদ্দিন।

এর আগে গত শনিবার রাতে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি মারামারি মামলার পরোয়ানায় চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির এলএলবির শিক্ষার্থী ফাহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লাহ ঘোনার মো. সাহাব উদ্দিনের ছেলে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিআরবিতে কলেজ ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৪
পরবর্তী নিবন্ধকুমিল্লার জয়রথ ছুটছেই