চট্টগ্রাম নগরীতে ‘আসামি’ আটক করতে গিয়ে মোঃ ইমন হোসেন মুন্না (৩৫) নামে এক ‘ভুয়া’ পুলিশ ধরা পড়েছে বায়েজিদ থানা পুলিশের হাতে। এ সময় মো. আরাফাত (২২) নামে আরেক ‘ভুয়া’ পুলিশ পালিয়ে যায়।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সূত্রে নিশ্চিত করা হয়, গতকাল বায়েজিদ এলাকায় মাদক মামলা আছে বলে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরে পড়ে তারা। পরে স্থানীয় জনতা থানা পুলিশকে খবর দিলে অভিযান চালিয়ে তারা দুই ‘ভুয়া’ পুলিশকে গ্রেফতার করে।
থানা সূত্রে জানা যায়, ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল অনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে অভিযুক্ত দুই ‘ভুয়া’ পুলিশ নাছিমা বেগম রত্না (৫২)’ নামে এক নারীর বাসায় গিয়ে অভিযুক্তরা নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয় এবং ভিকটিম নাছিমা কে বলে সে (রত্না) মাদক ব্যবসা করে।
রত্না যদি নগদ ১০ হাজার টাকা না দেয় তাকে তাদের সাথে যেতে হবে। ভিকটিম নাছিমা টাকা দিতে না চাইলে অভিযুক্তরা ভিকটিমকে জোরপূর্বক একটি সিএনজি অটোরিক্সায় উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ভিকটিম নাছিমার এক প্রতিবেশী ময়না বেগম (২৯) অভিযুক্তদের নিকট তাদের পুলিশ আইডি কার্ড দেখতে চাই।
এতে অভিযুক্তরা আইডি কার্ড দেখাতে না পারলে ভিকটিমকে টানা হেঁচড়া করে সিএনজি অটোরিকশায় তোলার চেষ্টা করলে ভিকটিমের শোর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ২ জন অভিযুক্তকে আটক করে। এ সময় ১ জন অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ১ ভুয়া পুলিশকে আটক করে।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি সনজয় কুমার সিনহা বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যায় এবং একজনকে গ্রেফতার করি। মোবাইল ফোনে ১নং অভিযুক্ত ইমনের পুলিশের পোশাক পরিহিত ছবি পাওয়া যায়।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পলাতক ১ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।