পঙ্গুত্বের সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চুরি করে আসছিল মোটর রিকশা ও টমটম। দুই বছরে তার রিকশা ও টমটম চুরির খাতায় যুক্ত হয় শতকের সংখ্যায়। সিএনজি অটোরিকশা চালক থেকে সে হয়ে উঠে পেশাদার মোটর রিক্সা চোর।
অবশেষে গত রবিবার রাতে পটিয়া থানা পুলিশের অভিযানে একটি অটোরিক্সা ও টমটমসহ মোঃ বালিকে (৩২) সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে অটোরিক্সা ও টমটম চুরির অন্যতম হোতা ও পেশাদার চোর। সে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানার ইমামনগর ইউপির সারেং বাড়ির সরবত আলীর মৃত মো. রফিকের পুত্র। এর আগে গত রবিবার সকাল ১১টায় পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে একটি অটোরিক্সা চুরির ঘটনায় অটোরিঙা চালক মোহাম্মদ শুক্কুর বাদি হয়ে পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। জানা যায়, পেশাদার চোর মো. বালি কোনো এক দুর্ঘটনার কারণে চিকিৎসক তার ডান পায়ের পাতার অংশটুকু কেটে ফেলে। পায়ের পাতা না থাকার কারনে আসামিকে কেউ চোর হিসেবে সন্দেহ করত না। মূলত সে একজন পেশাদার চোর। সে তার পঙ্গুত্বের সুযোগ নিয়ে এই পর্যন্ত শতাধিক টমটম–অটোরিঙা চুরি করেছে পুলিশকে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে পটিয়া থানা পুলিশের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে চোর সিন্ডিকেটের মূল হোতা মোঃ বালিকে গ্রেফতার করে। তার দেখানো ও স্বীকারোক্তি মতে পটিয়া থানাধীন ভেল্লাপাড়া শাহ আমানত ট্রেডার্সের পিছনে খালি জায়গা হতে বাদীর মালিকানাধীন ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের ১টি সবুজ রংয়ের ব্যাটারিচালিত অটোরিঙা উদ্ধার করা হয়। পটিয়া সেন্ট্রাল হসপিটালের সামনে খালি জায়গা হতে চুরি হওয়া জনৈক মোঃ দেলোয়ার হোসেনের একটি ব্যাটারিচালিত চোরাই টমটম আসামির স্বীকারোক্তি মতে চট্টগ্রাম মহানগরের আকবরশাহ থানাধীন সিটি গেটস্থ নিশান মোটরস নামীয় গ্যারেজের সামনে থেকে উদ্ধার করে। পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: জসিম উদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃত মো: বালি একজন পেশাদার চোর। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাকে কোর্টের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।