বইমেলা থেকে ফেরার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন দুই ব্যক্তি। এর মধ্যে তাজরিয়ান হাসান নামে এক পাঠক গত রাত পৌনে ১০টার দিকে সিআরবি’র পশ্চিম পাশে টাইগারপাস সড়কে বইমেলার অদূরে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। আগের দিন শনিবার রাত ৯টার দিকে একই এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন পার্ল পাবলিকেশন্স’র বিক্রয়কর্মী রাশেদ।
তাজরিয়ান হাসান আজাদীকে জানান, বইমেলা থেকে বের হয়ে টাইগারপাস রোড হয়ে যাওয়ার সময় ৮/১০ জন অপরিচিত লোক তার পথরোধ করে। এসময় ২/১ জন পথচারী ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল, পথরোধ করা লোকগুলো তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। তাজরিয়ান বলেন, অমুককে মেরেছিস, তমুককে মেরেছিস বলে লোকগুলো আমাকে ব্লেম দিতে থাকে। যাদের কথা বলছে তাদের আমি চিনিও না। একপর্যায়ে তারা আমাকে থাপ্পড় দেয়। পরে বলে কি আছে বের কর। এসময় তারা ছুরিও বের করছিল। তখন আমি ধাক্কাধাক্কি করে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
পার্ল পাবলিকেশন্স’র ব্যবস্থাপক সালাহউদ্দিন আজাদীকে বলেন, মেলা থেকে যাওয়ার সময় রাশেদ ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। তাকে খুব মেরে আহত করেছে। টাকা–পয়সা নিয়ে গেছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন সালাহউদ্দিন।
সিআরবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বোরহান উদ্দিন আজাদীকে বলেন, শনিবার রাতে ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়, কিন্তু কিছু নিতে পারেনি। আজকের (গতকাল) ঘটনার বিষয়ে অবগত নই। ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা
হবে।
চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বাবু আজাদীকে বলেন, পরপর দুইদিন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে তো মেলায় পাঠক–দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে যাবে। মেলার নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আমরা বার বার দাবি করেছি।
মেলার আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু আজাদীকে বলেন, আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। মেলার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বুথ বৃদ্ধি করে ৬টি করেছি।