ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনায় সীমান্তে বিজিবি সদস্যকে হত্যা, তিস্তার পানি বণ্টনসহ অমীমাংসিত নানা বিষয় তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বলেছেন, ‘ভারতের জাতীয় নির্বাচনের পর এর একটা সমাধান পাওয়া উচিত।’ গতকাল বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই বিষয়গুলো উঠে আসে। খবর বিডিনিউজের।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকা থেকে দিল্লি পৌঁছেন হাছান মাহমুদ। ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর এটিই বাংলাদেশ সরকারের কোনো প্রতিনিধির ভারত সফর। সফরের প্রথমদিন বুধবার সকালে দিল্লির সরদার প্যাটেল ভবনে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোবালের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর সন্ধ্যায় দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে জয়শংকরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লির ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব অব সাউথ এশিয়ায় তার মতবিনিময়ের বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশ–ভারতের বর্তমান সম্পর্ক’। সেখানে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি আলোচনা করেছেন। প্রাণঘাতী অস্ত্র যাতে সীমান্তে ব্যবহার না হয়, বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রাণহানির ওই ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে আরেক প্রশ্নে হাছান বলেন, ‘ভারত–বাংলাদেশের অনেক ইস্যু রয়েছে। আমাদের সীমান্ত সমস্যা, মিয়ানমার পরিস্থিতি আমরা উভয়ে মোকাবেলা করছি। আমরা বাংলাদেশে ১২ লাখ মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছি।’
তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, তার বিশ্বাস, ভারতের নির্বাচনের পর দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা এই চুক্তির একটা মীমাংসা হবে।