দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সবচাইতে বড় আসর বিপিএলের তিন রাউন্ড শেষ হয়েছে। ঢাকা থেকে শুরু হয়ে সিলেট ঘুরে আবার ঢাকায় এসে নোঙর করে এবারের বিপিএল। চতুর্থ রাউন্ডে বিপিএলের গন্তব্য চট্টগ্রাম। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে উঠবে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের। একই দিনে আরো একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে দুপুর দেড়টায়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্স এবং খুলনা টাইগার্স। চট্টগ্রামে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিপিএল আবার চলে যাবে ঢাকায়। সেখানেই হবে এই টুর্নামেন্টের বাকি সব ম্যাচ।
এদিকে বিপিএলকে বরণ করতে প্রস্তুত হয়ে আছে চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। বরাবরের মত এবারের বিপিএলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উইকেট। ঢাকায় শুরু হয়ে সিলেট ঘুরে আবার ঢাকায় ফিরলেও উইকেট নিয়ে আলোচনার যেন শেষ নেই। কারণ দর্শকরা যে লক্ষ্য নিয়ে টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট দেখতে আসে তার কোনো কিছুই তেমন দেখা যায়নি আগের তিন রাউন্ডে। তাই চট্টগ্রামে কেমন হবে এবারের উইকেট তা নিয়ে রয়েছে সবার আগ্রহ। যদিও জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচ কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু জানান, তারা চেষ্টা করছেন ভাল উইকেট বানাতে। তবে উইকেট থেকে ফায়দা নেওয়ার দায়িত্বটা ক্রিকেটারদের। তাদেরকেই উইকেটের সুবিধাটা নিতে হবে। কারণ মাঠে খেলবে তারা। যদিও আগের আসরগুলোতে দেখা গেছে চট্টগ্রামে তুলনামূলক ভাল রান হয়েছে। তাই এবারেও আশা করা হচ্ছে চট্টগ্রামে ব্যাটাররা রান পাবে। সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে সফল হবেন বোলাররাও।
যেহেতু সারাবছরই জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজিত হয়ে থাকে। সেহেতু সত্যিকার অর্থে এই স্টেডিয়ামে প্রস্তুতির তেমন কিছু থাকে না। যা আছে সেটা কেবল একটু সাজিয়ে তোলা। আর সে কাজও বেশ ভালই চলছে বলে জানিয়েছেন জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারী খান রুবেল। তিনি বলেন, আমাদের সবকিছু প্রস্তুত থাকে সবসময়। যা একটু ঘষামাঝা করা। বিশেষ করে মাঠ সবুজ রাখতে চেষ্টা করা হয় বেশি। সেটা চলছে বেশ ভালোভাবেই। আর উইকেট নিয়ে তো ভাবনার অন্ত নেই। বিপিএলের আগের আসরগুলোতে দেখা গেছে মূলত বিপিএলটা জমে উঠে চট্টগ্রামে এসে। এবারেও তেমনটি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আজ–কালের মধ্যে দলগুলো চট্টগ্রামে আসা শুরু করবে। এরপর অনুশীলন। অতঃপর ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব।
এদিকে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ড্রেসিং রুমের পাশ দিয়ে ফ্লাই ওভার যাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল স্টেডিয়ামের ড্রেসিং রুমের অংশটি। কারণ সেখানে থাকবে দেশি এবং বিদেশি ক্রিকেটাররা। তবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ড্রেসিং রুমের নিরাপত্তা বিধানে এরই মধ্যে সেখানে সুরক্ষা দেওয়াল নির্মাণ করে দিয়েছে। সে কাজটাও শেষ হয়ে গেছে বেশ আগে। তাই বলা যায় একেবারে প্রস্তুত হয়েই আছে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম বিপিএলকে বরণ করতে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিপিএল জ্বরে কাঁপবে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম।