চট্টগ্রামের উন্নয়নে সব সংস্থাকে সমন্বয় করে কাজ করার তাগিদ গণপূর্ত মন্ত্রীর

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সিডিএ চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে সব সংস্থাকে সমন্বয় করে একসঙ্গে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে আলাদ্দিনের কোনো চেরাগ নেই। আমি দুর্নীতি তেমন বুঝি না। আমি বুঝি, আইন ও বিধিবিধান মেনে কাজ করলে দুর্নীতি থাকবে না। এটা নিশ্চিত করতে আমি সর্বোচ্চ কাজ করবো। শিওর থাকেন। এ অবস্থায় মন্ত্রী সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘আপনারাআমরা ব্যক্তিজীবনে কি সবাই দুর্নীতিমুক্ত?

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক), গৃহায়ন ও গণপূর্তের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য ইতোমধ্যে আমি নির্দেশনা দিয়েছি। চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার বিষয়টি আমার নজরে থাকবে। চট্টগ্রামে আজকেই শেষ না, বারবার আসবো। যখন প্রয়োজন পড়বে তখনই আসবো। বিষয়টি নিয়ে সচিব, সিডিএ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য বলা হয়েছে।

নগরীর উন্নয়নে সকল সংস্থার মধ্যে সমন্বয় থাকার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, সিডিএ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে সব কাজ করতে হবে। একইসঙ্গে এমপি ও সিটি করপোরেশনের মেয়র, সিডিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজ করতে হবে।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ভাবে সাজিয়ে তুলেছিল। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই সৈকতের পুরো এলাকা স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে দুই শতাধিকেরও বেশি ভাসমান দোকান গড়ে তুলেছে। এখন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আর বিনোদনের কোনো জায়গা নেই। অবৈধ স্থাপনা ও ভাসমান দোকান বসার কারণে পতেঙ্গার সৌন্দর্যহানি হওয়ায় পর্যটকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে সিডিএ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে নাএক সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এখানে আমাদের সিডিএ চেয়ারম্যান রয়েছেন। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে তিনি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সভায় কিছু নীতিগত কথাবার্তা বলেছি। আমরা যাতে সবাই দেশপ্রেমের সঙ্গে, আইন ও বিধিবিধান মেনে কাজ করি, সেটা বলেছি। আরেকটা বিষয়, আমাদের মধ্যে কোঅর্ডিনেশন যেন থাকে। সংসদ সদস্য, মেয়র, সংস্থার প্রধান, সবার সঙ্গে কোঅর্ডিনেশনটা যাতে থাকে, যাতে সমন্বিতভাবে কাজ করা হয় সেটা বলেছি। এখানে কোনো সমস্যা কিংবা সমাধান নিয়ে কথা বলা হয়নি।

এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বন্দরপতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, এডিসি (সার্বিক) রাকিব হাসান, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, নির্বাহী প্রকৌশলী রাজীব দাশ প্রমুখ।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর গতকাল সকালে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম আসেন মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। সকালে পৌঁছে তিনি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটেড এঙপ্রেসওয়ে এবং কর্ণফুলী নদীর তীর হয়ে কালুরঘাট থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত আউটার রিং রোডের কাজ সরেজমিনে পরির্দশন করেন। এরপর সার্কিট হাউজে নিজ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), গণপূর্ত অধিদফতর এবং জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ধানক্ষেতে উড়ে গেল বাস, নিহত ৪
পরবর্তী নিবন্ধহালিশহরে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় সৎ বাবা গ্রেপ্তার