হাটহাজারীতে গতকাল মঙ্গলবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। হাটহাজারী–নাজিরহাট মহাসড়ক ও হাটহাজারী–রাউজান মহাসড়কে গতকাল এসব দুর্ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে হাটহাজারী–নাজিরহাট মহাসড়কের ধলই ইউনিয়নের মনিয়াপুকুর পাড় সংলগ্ন স্থানে সিএনজি টেঙির সাথে জিপের মুখোমুখি সংঘর্ষে টেঙিচালকসহ দুই যাত্রী আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পটিয়া উপজেলার কচুখাইন ইউনিয়নের হোয়াতলী গ্রামের ভক্ত ফকিরের বাড়ির নির্মল মিত্রের পুত্র দীপক মিত্রকে (৬০) মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর দুই জনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর জিপ চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ছুটে আসে নিহত দিপক মিত্রের ছেলে অভিজিৎ মিত্র। তিনি জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি পটিয়া হলেও চাকরির কারণে বাবার সাথে তিনি চট্টগ্রামে থাকেন। তিনি বলেন, বাবাকে হারিয়ে এখন আমি এতিম হয়ে গেলাম। নাজিরহাট হাইওয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে গতকাল বিকালে উপজেলার মেখল ইউনিয়নের ইছাপুর ফয়েজিয়া বাজারের পশ্চিম পাশে হাটহাজারী–রাঙ্গামাটি সড়কের পাশে একটি দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্প ট্রাকের সাথে রাঙ্গামাটিগামী বৌদ্ধ ভিক্ষু বহনকারী একটি প্রাইভেটকারের সংঘর্ষের ঘটনায় কারের যাত্রী স্বপন চাকমা ( ৩২), মেত্বাবংশ মহাস্থবির (৪৪), জ্ঞানজিৎ ভিক্ষু (৩২), কামাল হোসেন (৩২) ও নজরুল ইসলাম (৩৫) নামে পাঁচজন আহত হয়। আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ নিয়ে আসলে তাদের মধ্যে পাঁচ জনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম প্রেরণ করা হয়েছে। আহত ট্রাক চালক ও সহকারী কামাল হোসেন এবং নজরুল ইসলামকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কামাল হোসেন মারা যায়। আহত অপর তিনজনকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. রশ্মি চাকমা ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।