সীতাকুণ্ডে গ্রাম্য সর্দার নুর মোস্তফা ওরফে বজল হত্যা মামলার আসামি মোরশেদ আলমকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার পরবর্তীতে আসামির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের বহরপুর এলাকায় গ্রেপ্তার মোরশেদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত রবিবার রাতে যশোর জেলার অভয়নগর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান সীতাকুণ্ড পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামি মোরশেদ সীতাকুণ্ডের বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের বহরপুর এলাকার নুরুল আবছার কালুর পুত্র। সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাইদ বলেন, গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আধিপত্য বিস্তার, ডাকাতিসহ নানা ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়ার জেরে গ্রাম্য সর্দার বজলকে ডাকাত তৌহিদ ও তাঁর অনুসারী সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনার দুদিন পর ২৭ ডিসেম্বর ডাকাত তৌহিদ ও মোরশেদ কয়েকজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা কয়েকজনকে আসামি করে নিহতের ছেলে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা পরবর্তী গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান আসামিরা। তবে প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি মোরশেদের অবস্থান নিশ্চিতের পর গত রবিবার রাতে যশোরের অভয়নগর থানায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাঁর বাড়ির সামনে উঠানের দক্ষিণ কোনায় মাটির নিচে পুতে রাখা কালো প্লাস্টিকের ভেতর থেকে দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র (এলজি) ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে হত্যা মামলার পাশাপাশি অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার আসামি মোরশেদ গ্রাম্য সর্দার বজল হত্যায় নিজের জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করে গতকাল চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারদিন মোস্তাকিম তাসিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামি মোরশেদ জানিয়েছেন, তৌহিদের সাথে মিলে তাঁরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ডাকাতিসহ নানা ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড করতেন। আর তাদের এসব কর্মকাণ্ডে বাধা দিতেন বজল। তাই তাদের পথের কাঁটা বজলকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে তৌহিদের পরিকল্পনায় হত্যার ছক করেন। সেদিন সন্ধ্যায় বজলকে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। পরে তাঁর বুকে গুলি চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। হত্যা মামলার প্রধান আসামি তৌহিদসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।