আনোয়ারায় অগ্নিকাণ্ডে তিনটি রাইস মিল ও দুটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০মিনিটের দিকে বটতলী রুস্তম হাটে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে শাহ মোহসেন আউলিয়া, হুর জাহান, আল রাজিয়া রাইস মিল, পানের ও স্টেশনারি দোকান পুড়ে যায়। এতে দেড় কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা। এদিকে লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ায় আগুনে পুড়ে গেছে ৬ টি বসতঘর। গতকাল ভোররাত ৪ টার দিকে ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল আলিম সিকদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আনোয়ারা প্রতিনিধি জানান, আল রাজিয়া রাইস মিলের মালিক দৌলতখান বলেন, রাইস মিলে বসে থাকার সময় আগুনের পুড়ানো গন্ধ নাকে ভেসে আসে। মুহূর্তে মিলের পেছনে দেখতে পাই পাশের লাকড়ির মিলে আগুন ধরছে। কোন রকমে দোকান থেকে বের হই, মুহূর্তে আগুন আমাদের রাইস মিলে ছড়িয়ে পড়ে ৩০/৩৫ মিনিটে পুড়ে সব শেষ। ক্ষতিগ্রস্ত শাহ মোহসেন আউলিয়া রাইস মিলের মালিক খোরশেদ আলম অভিযোগ করে বলেন, ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসলেও তাদের সাথে পানি ছিল না। যার কারণে অনেক দূরে পুকুরে লাইন দিয়ে পানি আনার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আনোয়ারা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মং সুই লু বলেন, আগুন লাগার খবরে আনোয়ারা ফায়ার সার্ভিসে দুইটি ও কর্ণফুলী উপজেলার একটিসহ ৩ টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। এখনো পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি।
এদিকে লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ায় আগুনে পুড়ে গেছে ৬ বসতঘর। গতকাল আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, ওই এলাকার নাজির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুছ, মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম, অলি আহমদের ছেলে মকবুল আহমদ, ফরিদ আহমদ ও মৃত মোহাম্মদ ইলিয়াছের ছেলে জয়নাল আবেদিন ভুট্টো।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, মকবুল আহমদের টিনের ছাউনী ও বাঁশের বেড়ার বসতঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের আধাপাকা ও মাটির বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করেন। ততক্ষণে বসতঘরগুলোর সিংহভাগ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে নগদ টাকাসহ প্রায় ১৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি।
এদিকে, খবর পেয়ে বড়হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিজয় কুমার বড়ুয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে সারাদিনেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সহযোগিতায় কেউ এগিয়ে আসেননি। বর্তমানে প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে তারা খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করছেন।
লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের লিডার রাখার চন্দ্র রুদ্র জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।