মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, ডিসি পার্কের ফুলের সৌন্দর্য আমাকে দারুণভাবে বিমোহিত ও মুগ্ধ করেছে। ১২৭ প্রজাতির লক্ষ ফুলের সমাহারে সজ্জিত ডিসি পার্ক যেন দুবাইয়ের মিরাকল গার্ডেনের প্রতিচ্ছবি। এখানে থাকা নানা বর্ণের ও প্রজাতির ফুলের মন মাতানো সৌরভে হৃদয়ে প্রশান্তির ছোঁয়া অনুভূত হয়েছে। তিনি বলেন, আমি অনেক দেশে দেখেছি এ ধরনের ফুলের পার্কের মাধ্যমে পর্যটকদের আগমনে অর্থনৈতিকভাবে দেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য পর্যটন খাতকে অর্থনৈতিকভাবে গড়ে তোলার জন্য বেশি নজর দিচ্ছেন। তিনি জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তিনি সরকারি খাস জমি অবৈধ দখলদারের কবল থেকে উদ্ধারের পর এখানে যে ফুলের বাগান গড়ে তুলেছেন তা সকলের কাছে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তিনি বেহাত হওয়া সরকারি খাস জমি উদ্ধারের পর ডিসি পার্কের আদলেই ফুলের বাগান গড়ে তুলতে দেশের প্রতিটি জেলার ডিসিদের আহ্বান জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সীতাকুণ্ডের ডিসি পার্কে মাসব্যাপী ফুল উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব আরো বলেন, আমাদের সন্তানদেরও ফুলের মতন করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা নিজেকে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত করতে পারে। আর আমি মনে করি চট্টগ্রামের জন্য এটি একটি দৃষ্টিনন্দন পার্ক। এটি অর্থনৈতিকভাবে চট্টগ্রামকে আরো উন্নত করে তুলবে। এখানে পর্যটকরা এসে যাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারে এবং দূর–দুরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা বিশ্রাম করতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন কটেজসহ বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য যা যা করা দরকার সব ব্যবস্থা করা হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় ১৯২ একর জায়গা জুড়ে মাদকের আখড়া ছিল। এলাকার জনগণ এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন জায়গাটি উদ্ধার করে ফুল প্রেমীদের জন্য পার্কে পরিণত করেছে। এক মাসব্যাপী যে ফুলের উৎসব হবে তা দেখে অন্যান্য জেলা অনুকরণ অনুসরণ করে সারাদেশে ফুলের প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করে তুলবে। এই ফুলের উৎসবে ফুলের সমাহার দেখে আমারও এখন মন চাইছে বার বার চট্টগ্রামে আসতে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম, পার্কটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) এ.বি.এম নায়হানুল বারী, সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন প্রমুখ। এদিকে উৎসবের প্রথম দিনে ডিসি পার্কে ভীড় জমিয়েছেন ভ্রমণ পিপাসু শত শত পর্যটক ও দর্শনার্থী।