চাকরি দেয়ার নামে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ, অবশেষে ধরা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৭:৩৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টমস অফিসে চাকরি দেয়ার নামে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়া আতিকুর রহমান চৌধুরী ওরফে আনিছুর রহমানকে (৩৮) ফেনী থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে আত্মসাৎকৃত ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। সোমবার (২২ জানুয়ারি) ফেনী জেলার পরশুরাম থানাধীন দক্ষিণ গুথুমা থেকে পরশুরাম থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।

গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর ডবলমুরিং মডেল থানার ওসি ফজলুল কাদের পাটোয়ারী এ তথ্য জানিয়ে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আতিকুর রহমান ফেনী জেলার পরশুরাম থানা এলাকার ৪ নম্বর বক্স মাহমুদ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গুথুমার ছেলামত আলী চৌধুরী বাড়ীর মোস্তফা চৌধুরীর ছেলে। তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গার আকাশ আলীর চাচা শামছুদ্দিনেন সাথে আতিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচয় হয় চুয়াডাঙ্গায়। আতিকুর রহমান তার নিজের নাম আনিছুর রহমান বলে জানায়। শামছুদ্দিনের সাথে পরিচয়ের একপর্যায়ে আতিকুর রহমান চৌধুরী ওরফে আনিছুর রহমান চট্টগ্রাম কাস্টমস অফিসে ডেসপাস রাইটার হিসেবে লোক নিয়োগ দিতে পারবে বলে শামছুদ্দিনকে জানায়। শামছুদ্দিন তার ভাতিজা আকাশ আলীকে চাকরি দেয়ার জন্য বললে আনিছুর রহমান ১৫ লক্ষ টাকায় চাকরি দিতে পারবে বলে জানায়। আনিছুর রহমানের কথায় শামছুদ্দিন ভাতিজা আকাশ আলীর চাকরির জন্য আশ্বস্ত হয়ে ১৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজী হয়।

ওসি ফজলুল কাদের পাটোয়ারী বলেন, আকাশ আলী গত বছরের ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন অলংকার মোড়স্থ একটি হোটেলে আসলে আতিকুর রহমান চৌধুরী আকাশ আলী থেকে চাকরির প্রসেসিং ফি বাবদ ১৫ হাজার টাকা নেয়। পরবর্তীতে জয়েনিং লেটারের কথা বলে বিকাশ নাম্বারে ২০ হাজার, পরের ধাপে এসএ পরিবহনের মাধ্যমে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নেয়। এরপর নগদ একাউন্টের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ২৫ হাজার ও ৫৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি চট্টগ্রামের অলংকার মোড়স্থ এশিয়ান হোটেলে চাকরির জয়েনিং লেটার দেখিয়ে বাকি ১২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নেয় আতিকুর। পরে টাকা গুলো নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় সে।

এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়েরের পর মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরির্দশক (এসআই) ইমান হোসেন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। ফুটেজসহ প্রাপ্ত অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে কথিত আনিছুর রহমানের পূর্ণ পরিচয় সনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে মূলত প্রতারনার কৌশল হিসেবে একেক সময় একেক নাম ব্যবহার করে। তার ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে একাধিক অটো সীল, গোল সীল, আনিছুর রহমান নামীয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃক ইস্যুকৃত ১টি আইডি কার্ড, চাকরির আবেদন ফর্ম ও মোবাইল ফোন সহ বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।.

পূর্ববর্তী নিবন্ধনির্বাচন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে গঠনমূলকভাবে সম্পৃক্ত হব : সারাহ কুক
পরবর্তী নিবন্ধচকরিয়ায় ১৭০ বস্তা ইউরিয়া জব্দ, দোকানে তালা