ভারতের কাছে পরাজয় দিয়ে অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় ম্যাচে এসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গতকাল দক্ষিন আফ্রিকার ব্লুমপন্টেইনে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সুপার সিক্স পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ দলের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এর পর ব্যাটারদের দায়িত্বশীল ব্যাটিং বাংলাদেশ দলকে পাইয়ে দেয় গুরুত্বপূর্ন এই জয়। যে জয়টি খুব বেশি দরকার ছিল বাংলাদেশ দলের। শিহাব জেমসের হাফ সেঞ্চুরি এবং আহরার এবং শিবলির চল্লিশোর্ধ দুটি ইনিংসের উপর ভর করে সহজ জয় পায় বাংলাদেশ দল। জয়ের সাথে রান রেটটাকেও বাড়িয়ে নিয়েছে টাইগার যুবারা। আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ২৩৬ রানের টার্গেট ২১ বল হাতে রেখে টপকে যায়। পরের ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে হারাতে পারলে বাংলাদেশ চলে যাবে সুপার সিঙ পর্বে। কারন পরের ম্যাচে আয়ারল্যান্ড খেলবে ভারতের বিপক্ষে। টস হেরে ব্যাট করতে নামা আয়ারল্যান্ড ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ৪৫ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট । ৯ রানে ফিরেন রায়ান হান্টার । আর ৫ রানে ফিরেন গ্যাভিন রোলস্টন । এরপর জর্ডান নেইল এবং কিয়ান হিল্টন ২৭ রানের জুটি গড়েন। ৩১ রান করে আউট হন জর্ডান নেইল। এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান কিয়ান হিল্টন। তবে অপর প্রান্তে তাকে তেমন সঙ্গ দিতে পারেনি কেউই। অপর প্রান্তে ফিলিপাস রক্স ১৩, স্টক ম্যাকবেথ ২৭, জন ম্যাকন্যালি ২৩ রান করে আউট হন। দলকে ২১৯ রানে পৌঁছে দিয়ে ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে ফিরেন কিয়ান হিল্টন। তার আগে ১১৩ বলে ১১টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৯০ রান করেন হিল্টন। আর তাতেই আইরিশদের ইনিংস গিয়ে দাড়ায় ৮ উইকেটে ২৩৫ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মারুফ মৃধা এবং শেখ পারভেজ জীবন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন রোহানাত দৌলা বর্ষণ, রাফি উজ্জামান রাফি এবং মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
২৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুন শুরু করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার শিবলি এবং আদিল মিলে তুলে নেন ৯০ রান। ৬৩ বলে ৩৬ রান করে ফিরেন আদিল। ১৭ রান যোগ করার পর ফিরেন শিবলিও। এই ওপেনার করেন ৬০ বলে ৪৪ রান। তৃতীয় উইকেটে রিজওয়ান এবং আরিফুল মিলে ২১ রানের বেশি যোগ করতে পারেনি। ১৩ বলে ১৩ রান করে ফিরেন আরিফুল। তবে বাংলাদেশ দল রান রেটটাকে বেশ ভালভাবেই বজায় রেখেছিল। দুই রান পর ফিরেন ২১ রান করা রিজওয়ান। ১৩০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন আহরার আমিন এবং শিহাব জেমস। এ দুজন আর কোন বিপর্যয় হতে দেয়নি বাংলাদেশের। অবিচ্ছিন্ন ১০৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন এ দুজন। আহরার ৫ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করতে না পারলেও জেমস তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। ৫৪ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন জেমস। আর ৬৩ বলে ৩টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন আহরার আমিন।