নির্বাচনী আচারণবিধি ভঙ্গের দায়ে পটিয়ায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও দুই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত রবিবার পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও উপজেলা যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম এবং স্থানীয় যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম প্রকাশ বালু সাইফুর নামে এ মামলা করেন তিনি। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশে এই মামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনী গণসংযোগ করার সময় প্রকাশ্যে ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণ করেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচারণবিধিমালা ২০০৮–এর পরিপহ্নী। এদিকে ২৮ ডিসেম্বর রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর কর্মী–সমর্থকদের হুমকি দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিসদের সদস্য ও যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী ও তার কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হুমকি দেন। এছাড়া গত ১৮ ডিসেম্বর নিজের ফেসবুক লাইভে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর কর্মী সমর্থকদের হুমকি দেন যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম প্রকাশ বালু সাইফু। তারা দুজনই মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর পক্ষে কাজ করেছেন।
পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম জানান, নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আচারণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনী আচারণবিধি ভঙের অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–১২ (পটিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।