এপ্রিলের মাঝামাঝি কালুরঘাট সেতু দিয়ে চলবে গাড়ি

মানুষের পারাপারে হচ্ছে ওয়াকওয়ে নতুন সেতুর কাজও এগোচ্ছে

শুকলাল দাশ | রবিবার , ২১ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ

কালুরঘাট সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চলবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে। এখন সেতু দিয়ে নিয়মিত ঢাকা থেকে কঙবাজার রুটে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে। আগের মতো সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের পরামর্শ এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে পুরোদমে সংস্কার কাজ চলছে। ট্রেন ও যানবাহনের পাশাপাশি সেতু দিয়ে কর্ণফুলী নদীর দুই পারের মানুষের হেঁটে পারাপারের জন্য প্রথমবারের মতো নির্মিত হচ্ছে ওয়াকওয়ে। সেতুর উপর কার্পেটিং এবং ডান পাশে মানুষ চলাচলের জন্য ওয়াকওয়ের কাজ শেষ হলে আগের মতোই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী।

বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের পরামর্শ এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে শত বছরের পুরনো কালুরঘাট সেতুর লোড ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এরপর কক্সবাজারের সাথে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে কালুরঘাট সেতুর উপর দিয়ে নবনির্মিত কক্সবাজার রুটে প্রথম বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ট্রেন চলাচলের জন্য সেতুর মাঝখানে রেললাইনটি বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের পরামর্শে প্রথমে সংস্কার করা হয়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা আজাদীকে বলেন, এপ্রিলের মাঝামাঝিতে সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সেতুতে যাতে পানি জমতে না পারে সেজন্য এখন আমরা ড্রেন করছি। একই সাথে উভয় পারের মানুষ যাতে সেতুর এক পাশ দিয়ে চলাফেরা করতে পারে সেজন্য ওয়াকওয়ের কাজ করা হচ্ছে। আগে সেতুতে ড্রেনের ব্যবস্থা ছিল না। ড্রেনের কাজটি করতে একটু সময় লাগছে, যাতে ভালোভাবে হয়। ড্রেনের কাজ শেষ হলে গাড়ি চলাচলের জন্য কার্পেটিং করা হবে। নতুন সেতুর কাজও এগোচ্ছে বলে জানান তিনি।

এদিকে কোরিয়ার ইউসিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি নতুন সেতু নির্মাণের জন্য সমীক্ষা শেষ করেছে। তারা সমীক্ষা প্রতিবেদন দাখিল করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের প্রকৌশলী ও জয়দেবপুর ঈশ্বরদী প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ও নতুন সেতু প্রকল্পের ফোকাল পার্সন গোলাম মোস্তফা। ঋণচুক্তির মাধ্যমে কালুরঘাটে রেলওয়ে নতুন সেতু নির্মাণের অগ্রগতি আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, কালুরঘাট সেতুর লোড ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করে কঙবাজার রুটে নতুন ইঞ্জিনের নতুন ট্রেন চলাচলের জন্য ম্যাঙ ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে ৪৩ কোটি টাকায় সংস্কার কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়। উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রথমে সেতুর উপর দিয়ে কঙবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্ধ করা হলো চারটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার
পরবর্তী নিবন্ধবাস ভাড়া উঠানামা ১০ টাকা