ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদাসহ একটি বিস্তৃত চুক্তিতে পৌঁছালে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর রাজনৈতিক চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে কি না প্রশ্নে এমন জবাব দেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান। খবর বাংলানিউজের।
সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্যানেল আলোচনায় গত ১৬ জানুয়ারি একথা বলেন তিনি। যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, ইসরায়েলকে স্বীকৃতি অবশ্যই (দেব)। কিন্তু কেবলমাত্র একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের মধ্যে দিয়ে তা সম্ভব। আঞ্চলিক শান্তির অর্থ, ইসরায়েলের জন্যেও শান্তি, ফিলিস্তিনিদের জন্যেও শান্তি – এ বিষয়ে আমরা একমত। ফিলিস্তিনিদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ সার্বিক একটি চুক্তি হলে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে পারে সৌদি আরব। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের মধ্যে দিয়ে আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানান সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রিন্স ফয়সাল বলেন, গাজার প্রেক্ষাপটে এটি (শান্তি প্রতিষ্ঠা) আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।
দুটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছে যে, সৌদি–ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের বিষয়ে মার্কিন উদ্যোগ কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি নিশ্চিত করতে সৌদি আরবের এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
রিয়াদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে পরিচিত সূত্র জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসযোদ্ধাদের আক্রমণের আগে ইসরায়েল এবং সৌদি আরব দুই দেশের নেতারাই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, তারা কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছেন, যা মধ্যপ্রাচ্যকে নতুন একটি রূপ দেবে। কিন্তু ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলার জবাবে গাজায় ইসরায়েল বর্বরোচিত আগ্রাসন শুরু করলে সেই কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগে জল ঢেলে দেয় সৌদি আরব। এতে দেশটির কূটনৈতিক অগ্রাধিকারের পুনর্বিন্যাস হয়।