বাংলাদেশের অলরাউন্ডার নাসির হোসেনকে দুর্নীতির দায়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। একই সঙ্গে ছয় মাসের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাকে। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিবৃতির মাধ্যেম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী তিনটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে শাস্তি দেওয়া হলো। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী নিয়ম ভাঙায় অভিযুক্ত হন নাসির। ২০২১ আবুধাবি টি–টেনে ম্যাচে দুর্নীতিতে জড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল নাসির সহ আট ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
আইসিসির পাঠানো বিবৃতিতে এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে নাসিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়, ৭৫০ ডলারের বেশি দামের একটি উপহারের রশিদ দেখাতে পারেননি বাংলাদেশ জাতীয় দলের একসময়ের নিয়মিত মুখ নাসির। আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী একটি আমন্ত্রণের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতেও ব্যর্থ হয়েছেন নাসির। এ বিষয়ে আইসিসির করা তদন্তে সহায়তা না করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নাসির ছাড়াও দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির অংশীদার পরাগ সাংভি ও ক্রিশান কুমার চৌধুরী। ব্যাটিং কোচ আশার জাইদি, ঘরোয়া ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদ, সিলিয়া সামান ও সহকারী কোচ শাদাব আহমেদ। আবুধাবি টি–টেন লিগে ২০২১ সালে পুনে ডেভিলসের হয়ে খেলেছিলেন নাসির। দিয়েছিলেন দলটির নেতৃত্বও। যদিও নাসিরের দল গ্রুপ পর্বে ৬ ম্যাচে ২ জয়ে ৮ দলের মধ্যে সবার শেষে ছিল । ভালো করতে পারেননি নাসির নিজেও।