সড়কের পাশেই ময়লার স্তূপ

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি | রবিবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ

নাজিরহাটকাজিরহাট সড়ক সংলগ্ন স্থানে রাস্তার পাশের জায়গাটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এই রাস্তাটি দিয়ে অফিস, হাসপাতাল ও ছাত্রছাত্রীসহ প্রতিদিন সবশ্রেণির লোকজনের যাতায়াতের জন্য এই রাস্তাটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এসব ময়লার স্তুপ থেকে বের হওয়া উৎকট দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় চরম বিপাকে পড়ছেন পথচারীসহ পৌরবাসী। নাজিরহাট পৌরসভার ময়লাআবর্জনা ফেলার স্থায়ী স্থান (ডাম্পিং স্টেশন) না থাকায় সড়কের পাশ ঘেঁষেই পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডে সব ময়লাআবর্জনা ফেলা হচ্ছে। প্রায় ১১বছর ধরে সড়কের পাশে ময়লা ফেলতে ফেলতে স্থানটি ময়লার স্তুপে পরিণত হয়েছে। ময়লার দুর্গন্ধে পাশ দিয়ে চলাচল দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ময়লায় পুরো এলাকা দূষিত করছে। সরেজমিনে নাজিরহাটকাজিরহাট সড়কের নাজিরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, কেউ নাকে হাত দিয়ে, কেউবা মাস্ক পরে চলাচল করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে দিনের পর দিন পৌরসভা থেকে এসব ময়লাআবর্জনা ফেলায় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। নাকে কাপড় কিংবা নিশ্বাস বন্ধ না করে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এছাড়া এখানে সব সময় ময়লায় উৎপন্ন মিথেন গ্যাসের আগুন জ্বলতে থাকে। সেখান থেকে প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ ও ধোঁয়া বের হয়ে তাতে দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ।স্কুলকলেজের ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি পথচারীরা ময়লার দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আরেফিন আজিম বলেন,এসব ময়লা থেকে বায়ুদূষণ হয়। কারন বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ নি:সরিত হয়।যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ন হতে পারে। এছাড়াও শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। উন্মুক্ত ভাবে এভাবে ময়লা না ফেলে গর্ত করে এসব ময়লা পুড়িয়ে দেয়া দরকার। পৌর মেয়র এ. কে জাহেদ চৌধুরী বলেন, ময়লা ফেলার জন্য পৌরসভার নির্দিষ্ট কোন জায়গা (ডাম্পিং স্টেশন) নেই। আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার আগে থেকেই ওই স্থানে ১১বছর ধরে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এজন্য সরকারি ভাবে কোন বরাদ্দ নেই। আমরা একটা ফান্ডের মাধ্যমে ১০১২ কিলোমিটার ভিতরে জায়গা নিতে চেষ্টা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে অবৈধ কাঠবাহী গাড়ি জব্দ
পরবর্তী নিবন্ধবায়েজিদে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার