কক্সবাজারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরাকারবারি একাধিক চক্র। তারমধ্যে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে নানা কৌশলে সাগরপথে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে জ্বালানি তেল পাচার করে আসছিল। চক্রটি বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প থেকে অকটেন সংগ্রহ করতো। এরপর সাগরের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী দেশে অধিক মূল্যে বিক্রি করে দিত। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টায় দরিয়া নগর এলাকায় র্যাবের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৬৯টি ড্রামে মোট ২৯০০ লিটার অকটেন উদ্ধার করা হয়। র্যাব–১৫ (আইন ও গণমাধ্যম শাখা) এর সহকারী পরিচালক মো. আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
র্যাব জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে একটি চোরাকারবারি চক্র জ্বালানি অকটেন পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব–১৫ চোরাকারবারি ও পাচারকারী চক্রের সদস্য ও পাচার রোধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। যার ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার–টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের ঝিলংজা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডস্থ দরিয়া নগর ব্রিজের উপর অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ অভিমুখী দুইটি নীল রংয়ের পিকআপে থাকা কতিপয় ব্যক্তি র্যাবের আভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে গাড়ি থেকে নেমে তড়িত গতিতে পালানোর চেষ্টাকালে ৬ জনকে আটক করা হয়। অভিযানে চালকসহ ২ জন দ্রুত পালিয়ে যায়।
আটককৃতরা হলেন উখিয়া জালিয়াপালংয়ের সোনার পাড়ার মৃত আবদুস ছালামের পুত্র মোহাম্মদ আয়াজ (২২), একই এলাকার আবদুল্লাহর পুত্র মো. জসিম উদ্দিন (২০), মৃত হাজী আব্দুল মোতালেবের পুত্র মো. আলী আকবর (৩৮), আহমদ কবিরের পুত্র মোহাম্মদ সোহেল (১৯), মোহাম্মদ হাশেমের পুত্র মো. এহছান উল্লাহ প্রকাশ রহমত উল্লাহ (২৩) ও খুনিয়া পালং হিমছড়ি এলাকার মোহাম্মদ করিমের পুত্র মোহাম্মদ দেলোয়ার (২৪)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান, তারা পরস্পরের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প থেকে পাইকারি দামে জ্বালানি অকটেন কিনে অধিক মূল্যে অবৈধভাবে সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে চোরাইপথে বেশি দামে পাচার করে আসছিল। সেখানে তাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রাহক রয়েছেন। উদ্ধারকৃত আলামতসহ আটক চোরকারবারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।