বুকের মধ্যে দাগ কেটে কেটে কার্ডিয়াক এরিয়ায় তুমি–
দাবা খেলার দারুণ কোট বানাও।
তোমার হাতে সাদা ঘোড়া, আমার হাতে কালো ঘোড়া,
আমি তোমার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী।
আমার বুকে এতই কাটাকাটি – এপাড়– ওপাড়,
আড়াআড়ি কত রকমভাবে, কত নক্সা আঁকো তুমি,
খেয়াল তোমার ; শুধুই লীলাময়।
আমার বুকের রক্তের উপর হাতি ঘোড়া কত কিছু চাল চালো,
আমি মাটি কামড়ে পড়ে থাকি,
নিজের বুকে পিঠে নিজেই খামচে খামচে বেঁচে থাকি।
তোমার কত তাণ্ডব! আমার মন্ত্রি কাটো। রাজা চেক দাও।
আমি বিভাজিত হই, চর্বিত সমুদ্রের ফেনার মতো
ভেসে ভেসে যাই, কোথাও কূল নাই, কিনারা নাই,
কেবলই জন্মের দাগের মতো অন্ধকার রোপণ করি
শেকড়ের বাহান্ন– তেপান্ন নারকীয় নন্দনে।
তুমি তুখোড় খেলোয়ার। আমি আনাড়ি।
তুমি পিষে মারো তরঙ্গের পর তরঙ্গ।
তুমি দুর্বিনীত তাণ্ডবে হত্যা করো আমার কিস্তি,
গজ, সোলজার ; সব। খেয়ে ফেলো আমার হাজার
শতাব্দীর জমাট অশ্রুর পাণ্ডুলিপি। তুমি কি রূপকথার
রাক্ষুসী? বিষাক্ত দাঁতে খেয়ে খেয়ে নিস্ব: করেছো আমার সব।
আমার রাজা চেক! আমি চেক।
তোমার সৃষ্ট ধ্বংসলীলা আমার আজন্ম প্রেম।