শেষ হলো চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট। চট্টগ্রাম রাইফেল ক্লাব আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং রাইফেল ক্লাবের সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রামের খেলাধুলার উন্নয়নে কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকায় একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। যেখানে নানা ইভেন্টে অনুশীলন এবং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যাবে। এছাড়া ছলিমপুরে করা হবে শ্যুটিং রেঞ্জ। তিনি বলেন, রাইফেল ক্লাবের উদ্যোগে বছরে অন্তত চারটি টুর্নামেন্ট করা হবে। যাতে চট্টগ্রাম থেকে মানসম্পন্ন খেলোয়াড় সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাইফেল ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন।
বক্তব্য রাখেন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি এবং রাইফেল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাইফেল ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, টুর্নামেন্টের স্পন্সর প্রতিষ্ঠান শামীম প্রপার্টিজ লি. এর স্বত্বাধিকারী মো. ইসমাইল, রাইফেল ক্লাবের নির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম, ওসমান গনি, বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলমসহ রাইফেল ক্লাবের কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. রাজিব হোসেন।
এর আগে রাইফেল ক্লাব জিমনেসিয়ামে চারটি ইভেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট বালক বিভাগের ফাইনালটি একেবারেই জমেনি। কারণ খেলার শুরুতেই আসাদ–ইমরান জুটির আসাদ ইনজুরিতে পড়লে ম্যাচটির উত্তেজনা অনেকটাই শেষ হয়ে যায়। আর সে সুযোগে আকিব–শামিম জুটি সহজেই সরাসরি ২–০ সেটে জয়লাভ করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রথম সেট সহজে ২১–১০ পয়েন্টে জিতে নেয় আকিব–শামীম জুটি। দ্বিতীয় সেটটিও সহজে ২১–১১ পয়েন্টে জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এই ইভেন্টে তৃতীয় স্থান লাভ করে সাজ্জাদ–রিয়াজ জুটি। আর চতুর্থ স্থান লাভ করে ইশতিয়াক–ইকবাল জুটি।
অনুর্ধ্ব–১৮ বালক ফাইনালে মুখোমুখি হয় গালিব–জাবেদ জুটি এবং আফিফ–আইমান জুটি। এই ম্যাচে ২–০ সেটে আফিফ–আইমান জুটিকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় গালিব–জাবেদ জুটি। প্রথম সেট ২১–৮ পয়েন্টে জযের পর দ্বিতীয় সেট ২১–১৩ পয়েন্টে জিতে নেয় গালিব–জাবেদ জুটি। এই ইভেন্টে তৃতীয় স্থান লাভ করে রাহাত–নয়ন জুটি। আর চতুর্থ স্থান লাভ করে আওসাফ–সাফায়াত জুটি।
বালিকা বিভাগের ফাইনালে তৃশি–আইনান জুটি সরাসরি ২–০ সেটে জুবায়দা–ফারিয়া জুটিকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রথম সেট ২১–১৭ পয়েন্টে এবং দ্বিতীয় সেট ২১–১৯ পয়েন্টে জিতে নেয় তৃশি–আইনান জুটি। এই ইভেন্টে তৃতীয় স্থান লাভ করে রিহমা–জারিফা জুটি। আর চতুর্থ স্থান লাভ করে লাবিবা–জেরিন জুটি। পুরুষ ৪৫–উর্ধ্ব ইভেন্টের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনালে নুরুল হক–নওশাদ জুটি সরাসরি ২–০ সেটে সোহেল–আলম জুটিকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। দুটি সেটই ২১–১৯ পয়েন্টে জিতেছে নুরুল হক–নওসাদ জুটি। এই ইভেন্টে তৃতীয় স্থান লাভ করে মাহমুদুল–টিটু জুটি। আর চতুর্থ স্থান লাভ করে সরওয়ার–আজম জুটি। টুর্নামেন্টের প্রতি ইভেন্টের চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ হাজার টাকা, রানারআপ দলকে ৩০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলকে ১০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেই সাথে প্রদান করা হয় ট্রফি ও মেডেল। এছাড়া অংশগ্রহণকারী সবাইকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এই টুর্নামেন্টে ২১২টি দলের ৪২৪ জন শার্টলার অংশগ্রহণ করে।