শিক্ষা একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। আর সেই শিক্ষার মূল উপকরণ হল বই। নতুন বছর, নতুন ক্লাস, নতুন পাঠ্য বই। চারিদিকে সব কিছু নতুন, নতুন। খুশি, আনন্দে, সাজসাজ রব চারিদিকে। হাজারো উৎসবের মধ্যে আরও একটি উৎসব আর এই উৎসবের নাম ‘বই উৎসব’। এ আনন্দের গভীরতা অনেক। এ আনন্দের অনুভূতি মিষ্টি। ছাত্র ছাত্রী, মা বাবা তথা সকলেই আনন্দিত, উদ্ভাসিত। কোনও ভেদাভেদ নেই, একসাথে, একই দিনে প্রত্যেক শিক্ষার্থীরা বই পাওয়ার আনন্দে বিমোহিত হয়ে উঠে। স্কুল থেকে ঘরে ফিরে বেশ কিছুটা সময় ব্যস্ত হয়ে পড়ে নতুন বইয়ের মোহে। বছরের এই কিছুটা সময় কাটুক না নতুন বই নিয়ে। এর পরে তো ব্যস্ত হয়ে পড়বে ক্লাস, পরীক্ষা, কোচিংয়ের ব্যস্ততা আরও কত কী! এখন তো বছরের শুরুতেই বই পেয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। আমাদের সময় বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলেই আগে ভাগে বলে রাখতে হত পরবর্তী কোনও ভাই বা আপুকে। যাকে এখন বলে ‘বুকিং’। আর ঘরে যদি পিঠাপিঠি ভাই বোন থাকে তাহলে তাদের কাজ ছিল সারা বছর অনেক যত্ন ও সর্তকতার সাথে বইগুলো ব্যবহার করা যাতে ছোট ভাই বা বোন সেগুলো পড়তে পারে। আমরা নতুন বই পেতাম দুটি বা তিনটা। পুরানো বই নিয়ে নতুন ক্লাসে গেলে মনটা কিছুটা বিষণ্ন হয়ে যেত। আগামী বছর নতুন বই পাব সে সান্ত্বনা দিতাম মনে মনে। শুধুই কি স্কুল? কলেজের শিক্ষার্থীরাও বই পায় এখন। তাও আবার বিনামূল্যে। আর এই কৃতিত্ব ও অবদান রাষ্ট্র নায়কের। তাঁকে জানাই কৃতজ্ঞতা ও অশেষ ধন্যবাদ।