উচ্ছৃঙ্খলতা কখনোই আধুনিকতা নয়

সুচিত্রা ভট্টাচার্য | মঙ্গলবার , ৯ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ

বর্তমান সমাজে আমরা নিজেকে আধুনিক বা মডার্ন দেখাতে ও পরিচয় দিতে সবসময় ব্যস্ত। তরুণ তরুণীরা ও একশ্রেণির প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ নারী পুরুষরা এ ধারায় বেশ এগিয়ে। আধুনিক হতে গিয়ে আমরা অনেক অশ্লীল আচরণ, পোশাকপরিধান বা কার্যকলাপও করে থাকি, যা অনেক সময় অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। কখনো বা নৈতিকতা এবং ধর্মীয় পরিপন্থী ও হয়। আমরা বর্তমানে আধুনিক হতে গিয়ে বিভিন্ন পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক, চালচলন, খাবারদাবার বা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। প্রতিনিয়ত অনুকরণ করে চলেছি ভিনদেশী সভ্যতা। এমন অনেক অনুকরণ আমরা করছি যা বাঙালির ঐতিহ্য বা সংস্কৃতিতে কখনোই ছিল না। আবার আধুনিক হতে গিয়ে তরুণ সমাজের একাংশ কে দেখছি, রাস্তায় বিশাল সাউন্ডবঙ বা গাড়ি নিয়ে উদ্দাম নৃত্য করছে। আবার অনেক তরুণ তরুণীরা এমন ধাঁচের পোশাক পরছে যা আমাদের বাঙালি সমাজের সত্যি দৃষ্টিকটু। আবার এসব আধুনিকরা অনেকেই মনে করেন, শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ ও পাঞ্জাবি পরা আমি, আমরা কিংবা আপনি অত্যন্ত সেকেলে। আধুনিক হতে গিয়ে বা হাল ফ্যাশনের সবকিছু উপভোগ করতে গিয়ে কেউ কেউ হয়ে পড়ছে চরম উশৃঙ্খল। তরুণদের মধ্যে অনেকেই ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদিকে আধুনিকতা বলে মনে করছে। অনেক তরুণ তরুণীরা মা বাবার কাছে আধুনিকতার উপকরণ হিসেবে আবদার করে দামি মোবাইল ফোন, মোটর বাইক, বা আরও হরেক রকম জিনিসপত্র। এই আধুনিকতা এখন আমাদের সমাজে অনেক ক্ষেত্রে এক ধরনের উশৃঙ্খলাতে রূপ নিয়েছে। সাধারণ মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত মাবাবাও নিজের শত কষ্ট অপেক্ষা করে সন্তানকে এসব দিতে বাধ্য হয়। মনে করে এসব জিনিস আধুনিক যুগে হয়তো অনেক বেশি প্রয়োজন। পরিচিত কোনও কোনও তরুণতরুণীকে এসবের জন্য বিপথগামী ও দুর্ঘটনার শিকার হতে দেখেছি। তাই আমি এক কথায় বলবো, আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সামাজিক এবং ধর্মীয় বিধিনিষেধের বাইরে গিয়ে কোনও উশৃঙ্খল আচরণ কখনোই আধুনিকতা হতে পারে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভয়কে করতে হবে জয়
পরবর্তী নিবন্ধসীমাবদ্ধতা কাটিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা হোক বিশ্বমানের