খাগড়াছড়িতে সড়কের দুই পাশে গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। খাগড়াছড়ি পানছড়ি, মানিকছড়িসহ বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে ছায়া দেয়া রেইন ট্রি ও কৃষ্ণচূড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। সাম্প্রতিক সময়ে অবরোধ ও হরতাল চালাকালে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার জন্য এসব গাছ কেটে ফেলে দুবৃর্ত্তরা।
পরিবেশে অকৃত্রিম বন্ধ গাছ কর্তনের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে ভাইবোন ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজন চাকমা বলেন, গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে গাছ কাটা খুবই অন্যায়। এটা খুবই দুঃখজনক। যখন অবরোধ বা হরতাল দেয়া হয় তখনই গাছ কাট হচ্ছে। এভাবে গাছ কাটা বন্ধ করা হবে। সড়কের যেসব অংশ গাছ কাটা হয়েছে তার বেশ কিছু অংশ আমার ইউনিয়নের আওতাধীন। আমরা অনুরোধ করব যথাযথ কর্তৃপক্ষ যাতে এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
খাগড়াছড়ির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা বলেন, সড়কের দুই পাশে গাছ আমাদের সুরক্ষা দেয়। খাগড়াছড়ি একটি পর্যটন নির্ভর জেলা। পর্যটকদের আর্কষণের জন্য এখানকার সবুজ বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কিন্ত আমরা দেখছি বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। সড়কের দুই পাশে থাকা গাছের মালিক সড়ক ও জনপদ বিভাগ। তারা যদি আমাদের কাছে কোনো সহযোগিতা চায় আমরা সহযোগিতা করব।
গাছ কেটে সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট করার পর বেশ কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দুবৃর্ত্তদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা সাধারণ ডায়েরি করেনি সড়ক ও জনপদ বিভাগ। তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে অবরোধের নামে গাছ কাটা হয়েছে। যেহেতু রাতের বেলায় গাছ কাটা হয়েছে আমরা কাউকে দেখিনি। পুলিশও এই ব্যাপারে আমার সাথে কথা বলেছে। গাছগুলো যেহেতু সরকারি সম্পত্তি তা নষ্ট না করার অনুরোধ জানাই, একই সাথে এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা সমন্বিতভাবে ব্যবস্থা নিব।
তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গাছ কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। তিনি বলেন, আমরা গাছ কর্তনের ঘটনায় এখনো কোনো সুনিদিষ্ট অভিযোগ পাইনি। যদি কেউ অভিযোগ করে সেক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে খুঁজে বের করব।