শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সাজা পাওয়া গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষমা করার কোনো সুযোগ ‘সরকারের হাতে নেই’ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পরদিন গতকাল সোমবার গণভবনে দেশি–বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেছেন, শ্রমিকদের ‘বঞ্চিত করে শ্রম আইন লঙ্ঘন’ করায় ইউনূসের সাজা হয়েছে। তাকে ক্ষমা করতে পারেন কেবল শ্রমিকরাই। খবর বিডিনিউজের। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক ঠকানোর মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শান্তিতে নোবেলজয়ী ইউনূসসহ চার আসামিকে ছয় মাসের সাজার পাশাপাশি জরিমানাও করেছে আদালত। ইউনূস ছাড়া বাকি তিন আসামি হলেন– গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। শ্রম আইনের ৩০৩ এর ৩ ধারায় তাদের প্রত্যেককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে আরো ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই আইনের ৩০৭ ধারায় তাদের সবাইকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
তবে আপিলের শর্তে এক মাসের জামিন মঞ্জুর হওয়ায় আপাতত জেলে যেতে হচ্ছে না গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউনূসসহ চারজনকে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর সোমবার বিকালে গণভবনে দেশি–বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এমন বিজয় উদযাপনে ইউনূসদের মত সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা করা হবে কি–না, এমন প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর সামনে রাখেন একজন ভারতীয় পর্যবেক্ষক।
উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, তার কোম্পানির লোকজন, তারা বঞ্চিত হয়েছে, তারা একটি মামলা করেছে এবং তিনি শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন বা তার কর্মীদের বঞ্চিত করেছেন। এ কারণে তারা মামলা করেছে। সেখান থেকে তিনি ওই সাজা পেয়েছেন, সেখানে আমার কিছু করার নাই। সুতরাং তাকে ক্ষমার করার প্রশ্ন আমার কাছে আসে না। বরং তাকে তার শ্রমিকদের কাছে যাওয়া উচিত এবং ক্ষমা চাওয়া উচিত।