খাগড়াছড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে জেলার ১৯৬টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়া বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।
পাহাড়ের বিভিন্ন গ্রাম থেকে গাড়িতে করে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে। সকাল ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা ভোট দেয়া শুরু করে। কেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। তবে বিকেলের দিকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কমতে থাকে।
সকাল ৮টায় দীঘিনালা উপজেলার বাঙালি পাড়া এলাকার আনসার ভিডিপি ক্লাব কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের উপস্থিতি দেখা গেছে। কেন্দ্রটিতে আসা নতুন ভোটার রিবিতা ত্রিপুরা জানান, আমি প্রথমবার ভোট দিতে এসেছি। এখন লাইনে দাঁড়িয়েছি। ভালো লাগছে। অপর ভোটার লেমিকা ত্রিপুরা বলেন, আমি এখানে প্রথমবার ভোট দিতে এসেছি। ভোট দিব। লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সুচয়ন চাকমা জানান, ঠিক ৮টায় আমরা ভোট গ্রহণ শুরু করেছি। ভোটার উপস্থিতি ভালো আছে। নারীদের ভোটারদের উপস্থিতি বেশি আছে। এই কেন্দ্রে ভোটার ২ হাজার ৪১৪ জন।
সকালে দীঘিনালার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন নৌকার প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তিনি বলেন, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে। আমি কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়েছি, বেশ ভালো ভোটার উপস্থিতি রয়েছে। এছাড়া প্রশাসন খুব সর্তক আছে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারছে।
খাগড়াছড়ির র্রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
জাল ভোটের অভিযোগে কারাদণ্ড : এদিকে খাগড়াছড়িতে ভোট কেন্দ্রে ঢুকে জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে ৪ জনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল দুপুরে পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের বড় পানছড়ি (দক্ষিণ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং অফিসার অঞ্জন দাশ জানান, সকালে ছদ্মবেশে ভোট কেন্দ্রে ঢুকে জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে জাহিদ হাসান, শওকত মিয়া, মো. হালিম ও মো. ফুলমিয়াকে শনাক্ত করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হাসান। তাদেরকে দণ্ডবিধির ১৮৬০ এর ১৭১(চ) ধারা অনুযায়ী ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে আটক ৪ জনকে পানছড়ি থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।