বহুল প্রতীক্ষিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ। আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ২ হাজার ২৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলবে। ভোটের আগে ট্রেন ও গাড়ি পোড়ানো, ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়া, মহাসড়কে ত্রিকোণ আকারের লোহার পাত রাখা–এসব নিয়ে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। নাশকতার ঘটনায় সিইসিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আসছে ভোট উৎসবের কথা। প্রশাসন বলছে, শান্তিপূর্ণ ভোটের আয়োজনে তারা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কেন্দ্রে ও কেন্দ্রের বাইরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
চট্টগ্রামের দুই রিটার্নিং অফিসার অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের জন্য গতকাল দুপুর থেকে ২ হাজার ২৩ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ১৩ হাজার ৭৩২ জন সহকারী প্রিসাইডিং এবং ২৭ হাজার ৪৬৪ জন পোলিং অফিসারকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছেন। নির্বাচনের ৩২ রকমের সরঞ্জাম নিয়ে গতকাল দুপুরের পর থেকে কঠোর নিরাপত্তায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন তারা। গতকাল সকাল থেকেই প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারসহ আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছেন।
আজকের ভোট গ্রহণে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, সুপ্রিম পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট, কল্যাণ পার্টিসহ বিভিন্ন দল এবং স্বতন্ত্রসহ ১২৫ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছেন। ব্যালটে এই ১২৫ প্রার্থীর প্রতীক থাকবে। প্রার্থী সংখ্যা ১২৫ জন হলেও ১৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন আছেন ৩১ হেভিওয়েট প্রার্থী। এদের মধ্য থেকে ভোটে ১৬ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন বলে ধারণা করছেন ওইসব এলাকার ভোটাররা। ১৬ আসনে কারা হচ্ছেন সংসদ সদস্য তা দেখার জন্য আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ শেষে ভোট গননা শুরু হবে। এসব আসনে ভোটার আছেন ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৭ জন।
১০ আসনে নৌকা–স্বতন্ত্রের লড়াই : ১৬ আসনের মধ্যে ১০ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীর সাথে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে আজকের ভোটে। চট্টগ্রাম–৫ হাটহাজারী এবং চট্টগ্রাম–৮ বোয়ালখালী–চান্দগাঁও আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সাথে আওয়ামী লীগের ৩ স্বতন্ত্র প্রার্থীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। বাকি চার আসন চট্টগ্রাম–৬ রাউজান, চট্টগ্রাম–৭ রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম–৯ কোতোয়ালী এবং চট্টগ্রাম–১৩ আনোয়ারা আসনে আওয়ামী লীগের চার হেভিওয়েট প্রার্থী নির্ভার। কারণ এই চার প্রার্থীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
ভোটের মাঠে সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট হবে চট্টগ্রাম–১ মীরসরাই, চট্টগ্রাম–২ ফটিকছড়ি চট্টগ্রাম–৩ সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম–১০ ডবলমুরিং–খুলশী, চট্টগ্রাম ১১ বন্দর পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম–১২ পটিয়া, চট্টগ্রাম–১৪ চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম–১৫ সাতকানিয়া–লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম–১৬ বাঁশখালী, চট্টগ্রাম–৮ বোয়ালখালী–চান্দগঁাঁও, চট্টগ্রাম–৪ সীতাকুণ্ড এবং চট্টগ্রাম–৫ হাটহাজারী আসনে।
মীরসরাইয়ে নৌকার প্রার্থী মাহবুব রহমান রুহেলের সঙ্গে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের, সন্দ্বীপে নৌকার মাহফুজুর রহমান মিতার সঙ্গে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরীর, ফটিকছড়িতে নৌকার প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনির সঙ্গে তরমুজ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মো. আবু তৈয়ব ও সুপ্রিম পার্টির সৈয়দ সাইফুদ্দিন মাইজভান্ডারীর, সীতাকুণ্ডে নৌকার প্রার্থী এম এম আল মামুনের সঙ্গে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন মোহাম্মদ ইমরানের, হাটহাজারীতে লাঙল প্রতীকের জাতীয় পার্টি প্রার্থীর ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সাথে কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান চৌধুরীর, চান্দগাঁও–বোয়ালখালীতে কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালামের সঙ্গে ফুলকপি প্রতীকের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরীর ও লাঙলের সোলায়মান আলম শেঠের, ডবলমুরিংয়ে নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর সাথে ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনজুর আলমের এবং কেটলি প্রতীকের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদের, বন্দর–পতেঙ্গা আসনে নৌকার এম এ লতিফের সাথে কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের, পটিয়া আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর সাথে নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর, চন্দনাইশ আসনে নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরীর, সাতকানিয়া আসনে নৌকার প্রার্থী আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর সাথে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেবের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
এছাড়া বাঁশখালী আসনে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সাথে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান ও ট্রাক প্রতীকের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ কবির লিটনের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে ব্যক্তি ইমেজ এবং গ্রহণযোগ্যতায় নির্বাচিত হয়ে আসবেন ১২ প্রার্থী।
বাকি চার আসনের মধ্যে রাউজানে আবারো এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়ায় ড. হাছান মাহমুদ, কোতোয়ালী আসনে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং আনোয়ারায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের ওই চার হেভিওয়েট প্রার্থী নির্ভার।
১৬ আসনে ১২৫ প্রার্থী : চট্টগ্রাম–১ মীরসরাই আসনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৭ জন, চট্টগ্রাম–২ ফটিকছড়িতে প্রার্থী ৯ জন, চট্টগ্রাম–৪ সীতাকুণ্ডে ৭ জন, চট্টগ্রাম–৫ হাটহাজারীতে ৮ জন, চট্টগ্রাম–৬ রাউজানে ৫ জন, চট্টগ্রাম–৭ রাঙ্গুনিয়ায় ৬ জন, চট্টগ্রাম–৮ চান্দগাঁও–বোয়ালখালীতে ১০ জন, চট্টগ্রাম–৯ বাকলিয়া–কোতোয়ালীতে ৭ জন, চট্টগ্রাম–১০ পাহাড়তলী–ডবলমুরিংয়ে ১০ জন, চট্টগ্রাম–১১ বন্দর–পতেঙ্গায় ৭ জন, চট্টগ্রাম–১২ পটিয়ায় ৯ জন, চট্টগ্রাম–১৩ আনোয়ারা–কর্ণফুলীতে ৭ জন, চট্টগ্রাম–১৪ চন্দনাইশে ৮ জন, চট্টগ্রাম–১৫ সাতকানিয়া–লোহাগাড়ায় ৭ জন এবং চট্টগ্রাম–১৬ বাঁশখালী আসনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১০ জন।
প্রশাসনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি : চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সাড়ে ৪ হাজার করে ৯ হাজার অফিসার ও সদস্য নির্বাচনী মাঠে মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় আইন–শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ৯৬ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে গত এক সপ্তাহ ধরে। র্যাবের ৩২টি টহল টিম নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া ৮২ জন এঙিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩২ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে মাঠে কাজ করছেন গত এক সপ্তাহ ধরে।
১৬ আসনের মধ্যে ১০টি আসনের রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। অপর ছয়টি আসনের রিটার্নিং অফিসার চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আজাদীকে বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন। এই ব্যাপারে আমরা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমরা ভোটারদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই, নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসুন, উৎসবমুখর পরিবেশ ভোট দিন। রোববার সারা দেশের মতো চট্টগ্রামের সর্বত্র উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে। কোথাও কাউকে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার করতে দেব না। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ৩ জন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্বে রয়েছে। ব্যালট পেপার পৌঁছবে রোববার (আজ) সকালে।
চট্টগ্রাম জেলা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় সিএমপির পক্ষ থেকে ৪ হাজার ৫০০ জন অফিসার ও ফোর্স নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সাড়ে ৪ হাজার পুলিশ সদস্য নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন।
সার্বিক প্রস্তুতি ব্যাপারে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ আজাদীকে বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রথমে স্তরে রয়েছে পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের নিরাপত্তা বলয়, এরপর মোবাইল টিমের সদস্যরা। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়নে দুটি করে মোবাইল টিম রয়েছে। যাতে কেউ কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতে না পারে। তৃতীয় ধাপে রয়েছে স্ট্রাইকিং ফোর্স (পুলিশ এবং আনসার ব্যাটালিয়নের ফোর্স থাকবে)। এরপর রয়েছে ডিএসবির সদস্যদের সমন্বয়ে গোয়েন্দা নজরদারি। এরপর রয়েছে চেক পেয়েন্ট, অবৈধ কোনো অস্ত্র–শস্ত্র কেউ বহন করছে কিনা, কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার চেষ্টা করছে কিনা সেটা প্রতিটি পয়েন্টে মনিটরিং শুরু হয়েছে। এছাড়া রয়েছে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট।
তিনি বলেন, নির্বাচন হবে শতভাগ সুষ্ঠু। কেউ এদিক–ওদিক করার সুযোগের কথা দূরে থাক, চিন্তাও করতে পারবে না। নির্বাচনের দিন প্রতিটি উপজেলায় জেলা প্রশাসক, আমিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করব।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী আজাদীকে বলেন, আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রতিটি কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ২০২৩টি কেন্দ্রে ভোট চলবে। নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে গেছে। ব্যালট পেপার যাবে আজ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় শান্তি–শৃঙ্খলা রক্ষায় এবং সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছেন।
রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলার উপজেলা পর্যায়ে সাধারণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে ২ জন অস্ত্রধারী পুলিশ, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ৩ জন অস্ত্রধারী পুলিশ দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে ১০ জন আনসার–ভিডিপি সদস্য, এক–দুজন গ্রাম পুলিশ সদস্য দায়িত্বে রয়েছেন। মেট্রোপলিটন এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে ৩ জন অস্ত্রধারী পুলিশ, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ৪ জন অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রেও ১০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য রয়েছে।
চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯০ জন, নারী ভোটার ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৭৫১ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার ৫৬ জন।