দেশবাসী সম্যক অবগত আছেন, দেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় দলগঠনের সকল আনুষঙ্গিক পরিক্রমায় সুপ্রতিষ্ঠিত এই দল। পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ও কথিত বেসামরিক প্রহসন এবং বৈদেশিক নানামুখী বৈরী–চাপে চরম নিষ্পেষিত এই দল পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট নির্মাণ করে। মুক্তির মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রাম সংঘটিত করে বাঙালির মুক্তির পদচারণায় আওয়ামী লীগের ভূমিকা ছিল আকাশচুম্বী। বিশেষ করে ১৯৫২ সালের রক্তক্ষয়ী মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৬ সালের সংবিধান প্রণয়ন আন্দোলন, ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণআন্দোলন, ৭০ সালের নির্বাচন এবং সর্বোপরি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে লালসবুজ পতাকার স্বাধীন–সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পিছনে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ ছিল দেশের শতভাগ জনসমর্থিত একমাত্র অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল।
ধারাবাহিকভাবে তিন মেয়াদ সরকার পরিচালনায় এই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা। অদম্য অগ্রগতিতে এগিয়ে নেওয়া বাংলাদেশকে করেছেন বিশ্বপরিমন্ডলে উচুমাত্রিকতার আসনে অধিষ্ঠিত। উন্নয়নের মডেল খ্যাত বিশ্বস্বীকৃত বর্তমান বাংলাদেশ এবং দেশের জনগণ শেখ হাসিনার দূরদর্শী–বিচক্ষণ–মেধা–প্রজ্ঞা–সুদূরপ্রসারী দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ পরিচয়ে ঋদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ। বিদায়ী ইংরেজি বর্ষ ২০২৩ ছিল অব্যাহত অভিযাত্রায় অর্জনের গৌরবে নিরন্তর উঁচুমাত্রিকতায় অত্যুজ্জ্বল। ২০২৩ সাল দেশব্যাপী বিভিন্ন মেগা প্রকল্প উদ্বোধনের বছর হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। চট্টগ্রামের কর্তফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এই বছরেই বাংলাদেশ টানেল যুগে প্রবেশ করে এবং বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়। বছরের শেষ দিনে পূর্ণতা পায় বিভিন্ন সময়ে আংশিক উদ্বোধন হওয়া ঢাকার মেট্টোরেল প্রকল্প। এছাড়াও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা–কক্সবাজার রেলপথ ও পদ্মাসেতুর দুইপাড়ের রেল সংযোগ দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় নতুন মাত্রিকতা সূচনা করেছে।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ৫০ বৎসরের অগ্রযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কর্মযজ্ঞকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে প্রায় সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন পরিক্রমা তথা আশু–স্বল্প–দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা কার্যকরণ রোডম্যাপে অগ্রসরমান শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, লিঙ্গ সমতা, দারিদ্রতার হার হ্রাস, মাথাপিছু আয় ও গড় আয়ু বৃদ্ধি, শ্রমঘন রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন, বিশেষায়িত ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান ও রাজস্ব উন্নয়ন, পোশাক ও ঔষধ শিল্পকে রপ্তানিমুখীকরণ ইত্যাদি আজ দেশের আর্থ–সামাজিক দৃশ্যপটে যুগান্তকারী অভিধায় সমুজ্জ্বল। দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় চালু হওয়া মডেল মসজিদ কাম ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো নীতি–নৈতিকতায় তারুণ্যের সম্ভাবনাকে উম্মোচিত করে ধর্মান্ধ–সাম্প্রদায়িকতা–জঙ্গিবাদ নির্মূলে ধার্মিকতা–অসাম্প্রদায়িকতা–মনুষ্যত্ব–মানবিকতার প্রজ্বলন ঘটাবেই– নিঃসন্দেহে তা প্রত্যাশিত।
আমাদের সকলের জানা, জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার বিগত সময়ে দেওয়া নির্বাচনী ইশতেহারের সফল বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পদার্পণ করেছে। ৭ জানুয়ারি ২০২৪ অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগানে নতুন ইশতেহার ঘোষিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের চলমান সাফল্যগাঁথার ভিত্তিতেই আসন্ন নির্বাচনের ইশতেহার অত্যন্ত আধুনিক– যুগোপযোগী ও ব্রতের সমাহার। ইশতেহারে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সমাজ গঠনের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। আগামী বছরগুলোতে দেশবাসীর কাছে করা আওয়ামী লীগের অন্যান্য প্রণিধানযোগ্য প্রতিশ্রুতিগুলো হলো– রাষ্ট্র পরিচালনায় পবিত্র সংবিধানের প্রাধান্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন, সর্বজনীন মানবাধিকার সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেকোন চেষ্টা প্রতিহত করার ব্যবস্থা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা–অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করার ধারা অব্যাহত থাকা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও মর্যাদা সমুন্নত রাখা, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের মাধ্যমে দক্ষ–উদ্যোগী–তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর–দুর্নীতিমুক্ত দেশপ্রেমিক–জনকল্যাণমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনবান্ধব–স্মার্ট–আধুনিক বাহিনীতে রূপান্তর, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি চলমান রাখা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে ইউনিয়ন–উপজেলা–জেলা পরিষদসহ পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতা এবং স্বায়ত্তশাসনের পরিসর আরও বৃদ্ধি করা, প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধার সম্প্রসারণ, সন্ত্রাস–জঙ্গিবাদ দমনের পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টা সচল রেখে তা নির্মূলে দক্ষিণ এশিয়া টাস্কফোর্স গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের প্রত্যাশা অধিকমাত্রায় প্রশংসিত।
উক্ত ইশতেহারে সর্বাধিক প্রাধান্য পাওয়া ১১টি বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে– দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়ে সবার ক্রয়ক্ষতার মধ্যে নিয়ে আসা, কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সুরক্ষা–চর্চার প্রসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকারিতা–জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, আর্থিকখাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা, লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা ও যান্ত্রিকীকরণ, দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সকলের সম্পৃক্তকরণ, সাম্প্রদায়িকতা এবং সকল ধরনের সন্ত্রাস–জঙ্গিবাদ রোধ করা ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা ইত্যাদি। এছাড়াও ইশতেহারে চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পরিকল্পনায় ২০২৮ সালের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা, জিডিপি ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ৮ দশমিক ১ ও ১৬ শতাংশে উন্নীত করা, প্রবাসী আয় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি, ২০৩১ সালের মধ্যে হতদরিদ্রের অবসান, ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্য ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রায় সকল দল–জোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষ থেকেও প্রায় একই ধরনের মতামত প্রকাশ করে ইশতেহার ঘোষিত হয়েছে। তুলনামূলক পর্যালোচনায় এটি প্রতিভাত যে দল–মত–ধর্ম–বর্ণ–নারী–পুরুষ–অঞ্চল নির্বিশেষে সকলেই দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে জনকল্যাণকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। তাদের উল্লেখ্য প্রতিশ্রুতি বাস্তব নিরীক্ষায় কোন পর্যায়ে কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবে তা দেখা–অনুধাবনের বিষয় হয়ে থাকল।
সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গীবাদ ও মাদক নির্মূলের অঙ্গীকার শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব পরিমন্ডলেও দেশের অবস্থান অধিক উঁচু মাত্রিকতায় অধিষ্ঠিত হবে। এই অঙ্গীকার দেশে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ–সম্প্রীতি সুপ্রতিষ্ঠিত ও বিরোধ–বিচ্ছেদ সংহারের পরিবেশকে সুনিশ্চিত করে একটি আধুনিক মানবিক রাষ্ট্রের মত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সুসংহত এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জোরালো ভূমিকা রাখবে – এটি সহজেই অনুমেয়। খাদ্য নিশ্চয়তা, দারিদ্র নির্মূল, শিক্ষার মান উন্নয়ন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, সমুদ্র সম্পদ উন্নয়ন, জনবান্ধব প্রশাসন ও আইন শৃংখলার উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী নিরাপত্তা, কৃষি উন্নয়ন ও আধুনিকায়নসহ সামগ্রিক সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার অবশ্যই দেশের আপামর জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করবে। ইশতেহারে বর্ণিত অন্যান্য সকল বিষয় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতাকে অধিকতর অর্থবহ করার প্রতিশ্রুতি অবশ্যই দারুণ উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার সঞ্চার করবে।
উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখার এবং বৈশ্বিক সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ধারাবাহিক অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার নতুন প্রতিশ্রুতি দেশবাসীকে মনে হয় করেছে অনেক বেশি উজ্জ্বীবিত। এক বুক নতুন আশার আলোয় উজ্জ্বল হয়ে অন্ধকারের সকল অপশক্তিকে নির্ভীক সাহসীকতায় যথার্থ অর্থে নিধন করে কার্যকর অসাম্প্রদায়িক মানবিক রাষ্ট্র গঠনে প্রতিশ্রুতিগুলোকে পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করবে – এই প্রত্যাশায় জনগণ গভীর আগ্রহে আগামী ৭ জানুয়ারি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শাণিত ও জাতির জনকের আদর্শিক চেতনায় সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় নতুন বিজয় অর্জন করবে।
প্রত্যাশার পরিশিষ্ট দৃশ্যমান করার উদ্দেশ্যে দ্রুততার সাথে ২১০০ ডেল্টা প্ল্যানের প্রাথমিক কার্যক্রম সম্পন্ন, রাজনৈতিক সংঘাত–সংঘর্ষ–প্রাণহানির মতো ঘটনাগুলো নিয়ন্ত্রণে অভ্যন্তরীণ কোন্দল মীমাংসায় দলগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, ত্যাগী–সৎ–যোগ্য ব্যক্তিত্বদের কোণঠাসা–অবমূল্যায়নের বিপরীতে যথার্থ মূল্যায়ন সাপেক্ষে পদ–পদবী–পদক ইত্যাদি নিশ্চিতকরণে নৈর্ব্যক্তিক–বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি–মূল্যস্ফীতি–দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ লাঘবে বিদ্যমান সকল সঙ্কট চিহ্নিত ও পরিত্রাণের উপায় নির্ধারণ, দ্রুততম সময়ে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সন্ত্রাস–দুর্নীতি–অনিময় দূরীকরণে দল–সরকার–আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকল প্রতিষ্ঠানের আত্মশুদ্ধিকরণ, ছদ্মবেশে পরাজিত শক্তির আত্মীকরণ রোধে অনুপ্রবেশকারী–ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রীদের সকল অপকৌশল ব্যর্থ করে দিয়ে যথার্থ অর্থেই দেশকে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনার প্রকৃত পরিশুদ্ধ কর্মপন্থা অনুসন্ধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ নতুন বছরের ইতিবাচক সকল উদ্যোগকে অধিকতর উদ্যমী ও নির্ভীক রূপ পরিগ্রহে সময়োপযোগী সহায়ক করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। উল্লেখ্য বিষয়সমূহ পরিপূর্ণ উপলব্ধিতে এটুকু দাবি করা যায় যে, জনগণ ইতিমধ্যেই উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ–ভোটাধিকার প্রয়োগ এবং প্রত্যাশিত রায় অর্জনে যেভাবে মুখিয়ে আছে; মহান স্রষ্টার অপার কৃপায় তাদের সকল উদ্বেগ–উৎকন্ঠা দুরীভূত হয়ে সুষ্ঠু–নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেই।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।