যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর গতকাল গাজার বিস্তীর্ণ অনেক অঞ্চল জুড়ে রোববার তীব্র বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে দুষে চলেছে। দু’দলেরই এক অভিযোগ, প্রতিপক্ষ শান্তিচুক্তি ভেঙেছে।
গতকাল ইসরায়েলি বোমা আঘাত হেনেছে উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরেও। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, শরণার্থী শিবরে এই বিমান হামলায় কয়েকজন নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে। রাফাহ’র পূর্বপ্রান্তেও ইসরায়েল ট্যাংকের গোলা ছুড়েছে বলে জানিয়েছে অধিবাসীরা। খান ইউনিসেও জঙ্গিবিমান থেকে বোমা ফেলছে ইসরায়েল। হাসপাতাল যুদ্ধক্ষেত্র হয়েছে উঠেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আহতদের স্থান সংকুলান করতেও হিমশিম খাচ্ছে অনেক হাসপাতাল।
গত শুক্রবার ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে ৭ দিনের বিরতির অবসান ঘটার পর থেকেই নতুন করে এই অভিযান শুরু হয়েছে। কাতারের মধ্যস্থতায় দোহায় আজ ফের শান্তি–আলোচনায় বসেছিল হামাস–ইসরায়েল। কিন্তু তা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। কারণ হিসেবে ইসরায়েল জানিয়েছে, বৈঠকে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। শুক্রবার থেকে উপত্যকায় নির্বিচার বোমা হামলা চালাতে শুরু করে তারা। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে বিমান থেকে অনবরত বোমা হামলা চালানো হচ্ছে।
আল জাজিরা গতকাল জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক এ তথ্য জানিয়েছেন। গাজায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনি জনগণের আরও বেশি ক্ষতি না করার আহ্বান জানিয়ে আসার পরও ইসরায়েলি বাহিনী এই তীব্র বোমা হামলা চালাচ্ছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, নতুন করে শুরু হওয়া লড়াই গাজায় বিরাজমান তীব্র মানবিক সংকটকে আরও গভীর করে তুলবে।
এর আগে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসকে নিধনের নামে উত্তরাঞ্চলে অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সে সময় দক্ষিণকে ‘নিরাপদ’ বা ‘দক্ষিণে গেলে নিরাপদে থাকা যাবে’ বলে তারা প্রচার করেছিল। কিন্তু এখন ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণেই হামলা চালাচ্ছে। খান ইউনিসকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। গত শনিবার এলাকাটিতে ব্যাপক বোমা হামলা চালানো হয়েছে।