বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বাংলাদেশের বাঁ–হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এই জয় সূচিতে থাকা আগামী বছর বেশ কয়েকটি টেস্টে দলের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন তাইজুল। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে তাইজুল বলেছিলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের মতো বড় দলকে হারানোর মজাই আলাদা। আমরা এখনও জিততে পারিনি তবে আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন আপনি একটি বড় দলকে হারাবেন, তখন আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। এটা দলের পরিবেশ বদলে দেয়। আগামী বছর আমরা বেশ কয়েকটি টেস্ট ম্যাচ খেলবো। এজন্য এই টেস্টে জয় আমাদের জন্য সহায়ক হবে।’ তাইজুলের স্পিন দক্ষতা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের উপর আধিপত্য বিস্তার আসল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। তাইজুল বলেন, ‘সকালেও উইকেট এতটা কঠিন বলে মনে হয়নি। আমাদের বোলাররা খুব ভালো বোলিং করেছে। শীর্ষ ব্যাটারদের দ্রুত হারানোয় তারা চাপে পড়েছে। আমি বলব না যে, উইকেট খুব খারাপ। তিনি আরও বলেন, ‘এটি খারাপ উইকেট নয়। আমি মনে করি তাদের বোলাররা খুবই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে এবং ভাল লাইন–লেন্থে বোলিং করেছে। দীর্ঘ সময়ের জন্য আমাদের কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছে এবং এই উপমহাদেশে এত বেশি স্পিন আমাদের জন্য সবসময় অনেক চ্যালেঞ্জিং ও আমাদের শুধুমাত্র এটিই ঠিক রাখতে হবে যে, আমাদের একটি ভালো পরিকল্পনা আছে এবং বোলিংকে পরিচালনা করা যাবে।’ সেট ব্যাটারদের শিকারে পারদর্শী তাইজুল। এই টেস্টে বর্তমান সময়ের সেরা ব্যাটার কেন উইলিয়ামসনকে দু’বার আউট করে সেটি প্রমান করেছেন তিনি। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে তাইজুলকে ‘বোলিং নেতা’ বলে অভিহিত করেছিলেন স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। তাইজুল বলেন, ‘আমি নয় বছর ধরে খেলছি। আমি কোন সেটআপ ব্যাটারকে আউট করতে পারবো– সে আস্থা আমার ওপড় দলের ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাকিব আমার সাথে থাকুক বা না থাকুক আমি সবসময় আমার পরিকল্পনায় অটুট থাকি। আমাদের অনেক স্পিনার আছে। পরিকল্পনা সবসময় একই। কেউ উইকেট নিবে কেউ রান আটকাবে । আমি রান ঠেকাতে পারলে হয়তো মিরাজ বা নাঈম উইকেট পেতেন। সেটা হোক বা না হোক, আমরা ভালো খেলছি কি না সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’












