সড়ক বিভাজকে গাছ কেটে সবজির চাষ!

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই অংশ

মাহবুব পলাশ, মীরসরাই | রবিবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ at ৬:৫১ পূর্বাহ্ণ

ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কের সড়ক বিভাজকে বাহারি ফুলগাছসহ সারা বছর ফুটে এমন সব গাছ লাগানো হয়েছিল। তা সৌন্দর্য পিপাসুদের মন কেড়েছিল। বর্তমানে মহাসড়কের মীরসরাই অংশে গাছ কেটে করা হচ্ছে সবজির চাষ। এক শ্রেণীর মানুষের কারণে অনেক গাছ হুমকির মুখে পড়েছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে ৫ মিটার প্রশস্ত সড়ক বিভাজকসহ ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনের হাইওয়েতে উন্নীত করা হয়। ভবিষ্যতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কথা মাথায় রেখে বিভাজকের পরিকল্পনা করা হয়। এছাড়া দেশীয় উন্নত জাতের ফুলগাছ লাগিয়ে সড়ক বিভাজকের সৌন্দর্য বাড়ানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাঞ্চন, সোনালু, কদম ও পলাশসহ ২৫টি ফুলগাছের তালিকা তৈরি করেন। গাছগুলোর প্রকৃতি বিচার করে নির্বাচন করা হয়েছিল। বর্তমানে মীরসরাই উপজেলার সোনাপাহাড়, পূর্ব দুর্গাপুর, মিঠাছরাসহ কিছু স্থানে দুর্ঘটনা বা অযত্ন অবহেলায় কিছু গাছ নষ্ট হয়েছে। কোথাও দুচারটি গাছের স্থানে ফাঁকা, কোথাও ডালপালা কমে গেছে। ফাঁকা স্থানে কেউ সবজি লাগিয়েছে। যেখানে গাছ কম বা আধাভাঙা গাছ আছে সেগুলো কেটে অনেকে সবজির চাষ করেছে। কেউ মাঝখানে দৃষ্টিনন্দন গাছের দুই পাশে সিমগাছ লাগিয়েছে।

পূর্ব দুর্গাপুর অংশের ঠাকুরদিঘির দক্ষিণ পাশে দেখা গেছে, বিভাজকে গাছের ঢালপালা কাটা, গোড়াও কাটা। ১ ডিসেম্বর অপর পাশে কাজ করছিলেন এক কৃষক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি জানান, পান্তাপুকুর এলাকার তজু মিস্ত্রি মাঝখানের গাছগুলো কেটে সবজি বাগান করতে জায়গা তৈরি করছেন।

ভাঙা দোকান এলাকায় বিভাজকে টমেটো ও বেগুনের চাষ করেছেন জামাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। রাস্তার পাশে জায়গা থাকতে এখানে কেন লাগিয়েছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালি আছে তাই লাগিয়েছি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই অঞ্চলের দায়িত্বরত আঞ্চলিক প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন বলেন, যেখানে একদম গাছ নেই সেখানে লাগালে আমরা কিছু বলছি না। তবে বিভাজকে থাকা নির্ধারিত গাছের ক্ষতি হয় কেউ এমন কিছু করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গাছ কাটলে তো শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, সড়ক বিভাজকে সৌন্দর্যবর্ধনের কোনো গাছ নষ্ট করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব স্থানে গাছ নষ্ট বা মরে গেছে সেখানে শীঘ্রই গাছ লাগানো হবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, প্রায় ৫২ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে এই মহাসড়কে। সবগুলো গাছই দেশীয়। সব থেকে বেশি রোপণ করা হয়েছে ৬৯৬০টি সোনালুগাছ। বকুল আছে ২২৯০টি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়লেন যুবক
পরবর্তী নিবন্ধঅপরাধ দমনে বসছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্যামেরা