চট্টগ্রাম–১ (মীরসরাই) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করা এই প্রার্থী পেশায় ব্যবসায়ী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে জমা দেয়া হলফনামায় তিনি এমন তথ্য উল্লেখ করেছেন। হলফনামায় গিয়াস উদ্দিন উল্লেখ করেন, কৃষিখাতে এই প্রার্থীর বাৎসরিক আয় ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা, নির্ভরশীলদের আয় ২৪ হাজার টাকা। বাড়ি/এপার্টমেন্টে নিজের আয় না থাকলেও নির্ভরশীলদের আয় আছে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে নিজের আয় ১২ লাখ ৭০ হাজার ৬০০ টাকা। নির্ভরশীলদের আয় পাঁচ লাখ ৭২ হাজার ৯০০ টাকা। অন্যান্য খাতে নির্ভরশীলদের আয় চার লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা যায়, গিয়াস উদ্দিন ও তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ প্রায় সমানে সমান। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে গিয়াসের নিজের নামে আছে ৮ লাখ ৫০ হাজার নগদ টাকা, স্ত্রীর নগদ টাকা আছে ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ আছে নিজ নামে ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৬৮০ টাকা, স্ত্রীর নামে আছে ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২০ টাকা। প্রার্থীর নামে একটি ও স্ত্রীর নামে একটি গাড়ি আছে। দুটি গাড়ির মোট মূল্য ৭২ লাখ টাকা। স্বর্ণ আছে নিজ নামে ২৫ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিঙ সামগ্রী ৩০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৭০ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে দুই লাখ ৫৮ হাজার ৬৩০ টাকা দামের ৬ একর জমি, স্ত্রীর নামে ৮৬ হাজার ২১০ টাকা মূল্যের দুই একর, ১২ একর যৌথ মালিকানায় ছাড়াও নিজের নামে তিন একর কৃষি জমি আছে। অকৃষি জমির মধ্যে নিজ নামে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের ২১ শতক জমি আছে। নগরীর খুলশী মৌজায় স্ত্রীর নামে পাঁচ হাজার ৭০০ বর্গফুট আয়তনের দুই কোটি ৬৬ লাখ ৬০০ টাকা দামের দুটি ফ্ল্যাট আছে। এই প্রার্থীর নামে ইস্টার্ন ব্যাংক খুলশী শাখায় এক কোটি ৩৩ লাখ টাকার ঋণ আছে।












