সাতকানিয়ায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের ছুরিকাঘাতে তার ৩ সহপাঠী আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বাজালিয়া শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুরো স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, গতকাল বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইতিহাস ও সমাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের বার্ষিক মূল্যায়ন (পরীক্ষা) ছিল। মূল্যায়ন শেষে বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ও বাজালিয়া বড়দুযারা সিকদার পাড়ার ইম্মত আলীর পুত্র ফারুকুল ইসলাম শিপন একই শ্রেণির তিন ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতে আহতরা হল– সপ্তম শ্রেণির ছাত্র তাহমিদ হাসান নাবিল, সজীব চক্রবর্তী ও ইউনুচ ইন্নাফ ইফাজ। আহত ছাত্রদেরকে বিদ্যালয়ে ডাক্তার নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সজল কান্তি দাশ জানান, গতকাল সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মূল্যায়ন ছিল। মূল্যায়ন শেষে শিক্ষার্থীরা চলে যাওয়ার সময় ফারুকুল ইসলাম শিপন তার একই শ্রেণির অপর তিনজন ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আমরা আহত তিন ছাত্রকে বিদ্যালয়ে রেখে ডাক্তার এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি আরো জানান, তাদের মধ্যে পূর্বের কোন বিরোধ আছে বলে আমার মনে হচ্ছে না। হয়তো সিড়ি দিয়ে নামার সময় ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এতে করে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কারণ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোসাদ্দেকুর রহমান আজাদ সিকদার জানান, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িত ছাত্র ফারুকুল ইসলাম শিপন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তার পরিবারের সাথেও কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, শিপন বাড়িতে যায়নি। কোথায় গেছে জানে না। আমরা প্রাথমিক ভাবে তাকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ সে স্কুলে আসলে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ভয় পাবে। এছাড়া যে ছাত্র বিদ্যালয়ে আসার সময় ছুরি নিয়ে এসেছে তাকে কোন ভাবে রাখা যাবে না।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রিটন সরকার জানান, এক ছাত্রের ছুরিকাঘাতে আরো তিন ছাত্র আহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। জানতে পারলাম অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেছে। সমাধান হয়ে গেলে ভাল হয়। আর থানায় অভিযোগ দিলেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।