মুক্তির আনন্দ ও বেদনার অশ্রুতে সিক্ত ফিলিস্তিনের কারাবন্দিরা

| রবিবার , ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ at ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী এক ফিলিস্তিনিকে স্বাগত জানিয়েছে তার পরিবার। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চারদিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তির আওতায় শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৩৯ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু নিজ ভূমিতে ফিরেছেন। খুশি উদযাপন করতে ওইদিন আতশবাজি ফুটিয়ে তাদের বরণ করেন ফিলিস্তিনিরা। প্রায় দুই মাস ধরে চলমান সহিংসতায় প্রথমবার গোলাবারুদের পরিবর্তে আতশবাজির আলোতে আলোকিত হলো ফিলিস্তিনের রাতের আকাশ।

বার্তাসংস্থা এএফপি শনিবার খবর প্রকাশ করেছে। দীর্ঘ কারাবাসে থাকা স্বজনদের বরণ করতে শুক্রবার বাধ ভাঙ্গা আনন্দউল্লাসে মেতে ওঠেন পশ্চিম তীরের বাসিন্দারা। এসময় ফিলিস্তিনি এবং হামাসের পতাকা হাতে বন্দি স্বজনদের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন তারা। সাঁজোয়া যানের বহরের সঙ্গে কাফিয়াহ স্কার্ফসহ দুটি সাদা কোচ বন্দিদের নিয়ে ওফার সামরিক ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে এলে, উল্লাসে মেতে ওঠে উৎসুক জনতা। তবে আনন্দের মাঝেও তাদের হৃদয়ের যে ক্ষতের দাগ তা এক মুহূর্তের জন্যও ভুলে যাননি তারা। স্বজনদের দেখতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ অশ্রু আনন্দের, এ অশ্রু স্বজনদের হারানোর বেদনার।

মুক্তি পাওয়া বন্দিদের একজন ২৪ বছর বয়সী মারাহ বাকির। গাজা উপত্যকা জুড়ে প্রায় ১৫ হাজার নিহত বেসামরিকদের কথা উল্লেখ করে এএফপিকে তিনি বলেন, মুক্তি পেয়ে আমি খুশি। তবে আমার মুক্তি শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। গত আট বছরের বেশি সময় ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি থাকা বাকির বলেন, কারাগারের চার দেয়াল থেকে মুক্তি পাওয়াটা সত্যিই চমৎকার। পূর্ব জেরুজালেমের বেইত হানিনায় তার পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার পর এএফপিকে বাকির জানিয়েছেন, কারাগারে আমি আমার শৈশব ও কৈশোর কাটিয়েছি, আমার বাবামা এবং তাদের স্নেহ থেকে অনেক দূরে ছিলাম। একটি নিপীড়ক রাষ্ট্রের কাছে এরচেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইসরায়েল-গাজা মানবিক বিরতি বাড়ানোর সুযোগ আছে : বাইডেন
পরবর্তী নিবন্ধমুক্তিযোদ্ধা খায়রুল বশর চৌধুরী