দেশ হতে দেশান্তরে

ইটালিয়ান সেলুন অব বেইজিং

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ২৬ নভেম্বর, ২০২৩ at ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ

সামনের দিকে এগুতে এগুতে একটু আগে লিজেন্ডেল হোটেলের অন্দরমহল সামান্য রেকি করে আসার কারণে প্রাপ্তজ্ঞানে মনে হলো ইউরোপিয়ান এন্টিক ভাবের এই হোটেলটি মনে হচ্ছে এখানকার একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাই। রিজেন্ট হোটেলের তুলনায় এর রুমের ভাড়া কতো বেশি কে জানে? আচ্ছা অনলাইনে যখন বুকিং দেয়ার জন্য হোটেল খুঁজছিলাম তখন কি এটা দেখতে পাইনি? রিজেন্টের তুলনায় এর ভাড়া খুব বেশি না হলে, এখানে উঠলেই তো ভালো হতো!

চোখে না পড়ার তো কথা না! অবশ্য চোখে পড়লেও হয়তো অচেনা এই নামটা মনে ধরেনি। হোটেল বুকিং দেয়ার সময়, খরচের বিবেচনার সাথে বিপণনের ভাষায় যাকে বলে ‘ব্র্যান্ড রিকগনিশন’ ও ‘ব্র্যান্ড এঙপেরিয়েন্স’ এ দুটোই হয়তো কাজ করেছিল অবচেতনে। একে তো রিজেন্ট হলো একটা গ্লোবাল চেইন অন্যদিকে একাধিকবার এই হোটেল থাকার অভিজ্ঞতাও তো ছিল আমার। তাই হয়তো অন্য হোটেলগুলোর অপশন আসলেও, পাত্তা পায়নি ওগুলো। সাধে কি আর আজকের বৈশ্বিক বিশ্বের কর্পোরেটসমূহ কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে ব্র্যান্ডিংয়ের পেছনে, নানানভাবে?

এসব ভাবতে ভাবতে এরই মধ্যে এসে দাঁড়িয়েছি সদলবলে পরের ব্লকে যাওয়ার জেব্রা ক্রসিংয়ে। ভোমাসাইজের সরলরেখা হয়ে এয়ারপোর্টের দিকে গড়িয়ে যাওয়া রাজপথটির এই অংশের ডানে থাকা সামনের দুটো, না বলা ভাল আড়াইটা ব্লক মোটামুটি চেনা আমার। রাস্তা পার হবার সংকেতের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে তাই মনে করতে চেষ্টা করলাম, গত দুই তিন দিনে যে ক’বারই এই এলাকায় গিয়েছি, ঘুরেছি তখন পোষা পশুপাখির ছবি সম্বলিত কোনও সাইনবোর্ড চোখে পড়েছিল কী না এখানে।

নাহ, তেমন কিছু মনে পড়লো না। এরই মধ্যে ল্যাম্পপোস্টে রাস্তা পার হবার সঙ্কেত জ্বলে উঠতেই, রাস্তা পার হতে হতে সবাইকে বললাম, সামনের ব্লকগুলো পার হবার সময় সবাই যেন ওখানকার সাইনবোর্ড গুলো ভালোমতো লক্ষ করে।

না বাবা। এদিকে তো কোন পেটশপ নাই। অনেকবারই তো এসেছি আমরা। দেখিনি তো।’

দীপ্রর এ কথায় ওর দিকে তাকাতেই দেখি, এ মুহূর্তেও তার হাতযন্ত্র থেকে গান না শুনলেও, গতরাতে কেনা ওর লাল রঙের বিটস হেডফোনটি ঠিকই ঝুলছে গলায়। মনে পড়ল, আহারে আমার কৈশোরে যখন জাপানি সনি কোম্পানির ‘ওয়াকম্যান’ নামের ক্যাসেটপ্লেয়ারের জয়জয়াকার ছিল আমাদের দেশের তরুণ কিশোরদের মাঝে, কতোই না সাধ ছিল তখন কোমড়ের বেল্টে ক্যাসেটপ্লেয়ার লাগিয়ে, গলায় হেডফোন ঝুলিয়ে দৃপ্তপায়ে হাঁটার।

অবশ্য আমার ঐ অসম্ভব রকমের গোপন সাধটির সাথে এও ভালো করেই জানতাম যে, সেসময় আমাদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা যে রকম নড়বড়ে ছিল, তাতে আমার একটি ওয়াকম্যান আশা করার মানে ছিল শুধু অবিবেচকই না এক্কেবারে বেকুবের মতোই সাতরাজার ধন দাবী করা। অতএব ঘুণাক্ষরেও মুখে আনিনি সে কথা কক্ষনো। এই মুহূর্তে গলায় বিটস হেডফোন ঝুলিয়ে দিপ্ত পদক্ষেপে দীপ্রর হাঁটার ভঙ্গি দেখে মনে হল, হাঁটছে বুঝি আমারই সামনে এখন কিশোরবেলার সেই আমি এক!

মুগ্ধ দৃষ্টিতে তা দেখতে দেখতে আনমনে বললাম, হ্যাঁ এদিকে অনেকবার আসলেও তখন তো আমাদের কারো মাথায় এমনকি অভ্রর মনেও পেটশপ খোঁজার চিন্তা ছিল না

না, না, বাবা আমি খুঁজেছি। কিন্তু দেখিনি এখানে কিছু।’

ওহ হো তাই নাকি বাবা? তুমি খুঁজেছো! বলতে বলতে পা চালিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়ে ভাইয়ার পিছু পিছু হাঁটতে থাকা অভ্রকে জড়িয়ে ধরলাম। বুঝতে পারছি ঢাকায় রেখে আসা ওর পোষা কুকুরের বাচ্চা প্লুটো এমনিভাবে ওর মনজুড়ে আছে যে, ভাইয়ার জন্য বিটস হেডফোন কেনার ব্যাপারে ওর তুমুল আগ্রহ থাকলেও নিজের জন্য কিছু না, বরং প্লুটোরে জন্যই খেলনা কেনাটাই তার কাছে মুখ্য সেই শুরু থেকেই।

সামনে এগুতে এগুতে বললাম ঠিক আছে, তাহলে এদিকে পেটশপ খোঁজাখুঁজি করে আর সময় নষ্ট না করে চল এগোই সামনে।

কতো দূর যাবো সামনে? ঠাণ্ডা লাগছে তো।’ শীতকাতুরে হেলেনের প্রশ্নের পিছু পিছু আসা মৃদু অনুযোগের উত্তরে বললাম, আবার কবে যে আসবো সবাই বেইজিং, তারতো কোও নিশ্চয়তা নেই। একটু হেঁটেই দেখি না যতোটা পরা যায়। এদিক দিয়েই তো সেদিন লি খাঁ নিয়ে গিয়েছিল আমাদের তিয়েন আন মেন স্কয়ারে। আজ যদি হাঁটতে হাঁটতে পেয়ে যাই সেটা তা হলে তো খুব ভালো হয়। বেশি সময় তো লাগেনি সেদিন এখান থেকে ওখানে যেতে। আজ তো অন্যদিনের তুলনায় কমই ঠাণ্ডা মনে হচ্ছে। আর জোরে হাঁটলে ঠাণ্ডা তো কম লাগবে।

না না ওইখানে আর ঢুকবো না আজ। ওইরকম খোলা জায়গায় ঠাণ্ডা বেশি হবে। খালি খালি ওইখানে ঢুকেই বা কী হবে। এছাড়া আজ তো শপিং ডে। এ পর্যন্ত কিছুইতো কেনাকাটা করা হয়নি। অকারণ এইভাবে ঘোরাঘুরি করে টায়ার্ড হওয়ার মানে নেই’।

স্ত্রীর অলঙ্ঘনীয় এই ভেটোর মুখোমুখি হয়ে দ্রুত নিজেকে শুধরে বললাম, ঠিক আছে, ঠিক আছে। ঢুকবো না ওইখানে। চল যাই সামনে। সামনে নিশ্চয় আরও মার্কেট আছে। ওখানকার কোনও একটাতে ঢুকলেই শুরু করতে পারবে কেনাকাটা। ঐদিকে সুবিধাজনক কিছু না পেলে, এখানকার মার্কেটগুলো তো থাকলোই।

কাজ হলো কথায়। দ্রুতই তাই পেরিয়ে গেলাম এদিকটার চেনা দুটো ব্লকই। তৃতীয় ব্লকটার মাঝামাঝি এসে মুর্গিভাজা বিক্রি করে বিশ্বজয় করা দোকানটির সামনে আসতেই, আউটলেটের মুখে সাদাস্যুট পরা ছাগলাদাড়ি সমৃদ্ধ মুখে হাসি ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কর্নেল সাহেবের মূর্তিটির দিকে নজর যেতেই ঘোষণা করলো অভ্র

বাবা আজ এখানে খেতে চাই।’

ঠিক আছে তাই হবে। ওর কথার জবাব দিতে দিতেই দেখি আমাদের পেরিয়ে দ্রুততর পায়ে এগিয়ে গেল সামনের দিকে দলের দুই নারী সদস্যা। লক্ষ্য তাদের, কে এফ সির সেই আউটলেট থেকে আরেকটু সামনে, ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা একতলা দালানটি।

দলের আর কেউ এদিকটায় না আসলেও আমি এসেছিলাম আগে এখানটায়। জানি না রাতের বেলায় আসার কারণেই কি না, নাকি সে সময় ঐটির দরজা জানালা সব বন্ধ ছিল বলেই হয়তো নজরে পড়েনি কী আছে ওতে। এখন ঐ দালানের কপালে লাগানো চায়নিজ সাইনবোর্ডে নানান ধরনের উভয় লিঙ্গের জুতার ছবি দেখে বুঝলাম, জুতার দোকান ওটা।

কী ব্যাপার ঢুকছো না কেন? দেখবে নাকি জুতা এখানে? দোকানটির সামনে এসে তাতে না ঢুকে বাইরে দাঁড়িয়ে জানালাবাজার মানে উইন্ডো শপিং এ ব্যস্ত লাজু আর হেলেনকে জিজ্ঞেস করতেই দুজনেই জানাল যে নাহ, ওটাতে ঢোকার ইচ্ছে নেই তাদের। দেশের বাইরে কোথাও গেলে, যে দুটো জিনিষ ওরা কেনেই কেনে, তার একটি হল হাতব্যাগ আরকেটি হল জুতা। এখন এরকম একটা বড়সড় জুতার দোকান পাওয়ার পরও, ওটাতে ঢোকার ব্যাপারে ওদের এই অনীহার কারণ বোধগম্য হল না। ব্যাপারটি খোলাসা করার ওই দোকানে ঢোকার দরজার পাশের বিশাল কাচের দেয়ালের এপাশে দাঁড়িয়ে ভেতরে চোখ ফেলতেই দেখি, ভেতরে লম্বায় চওড়ায় বেশ বড় সাইজের সেলফগুলো থেকে উপচে পড়ছে জুতা। আবার কোনও কোনও শেলফে এমনকি মেঝেতেও স্তুপাকারভাবে আছে জুতা।

এসময়কার আধুনিক দোকানগুলো যে রকম আলো ঝলমলে হয়, আর থাকে সাজানো গোছানো তার ছিটেফোঁটাও নেই এই দোকানটির কোনও কিছুতেই। তদুপরি যে সব জুতো চোখে পড়ছে তার অধিকাংশই দেখছি পুরুষদের। ওগুলোরও চেহারা সুরতে মনে হচ্ছে এই ধরনের জুতা অহরহই পাওয়া যায় ঢাকা শহরের ফুটপাতে ফুটপাতে। সবমিলিয়ে দোকানটিকে ফ্যাশনবল তো মোটেই নয় বরং খুবই সাধারণ ধরনের সস্তা জুতার একটা পাইকারি দোকানই মনে হচ্ছে। অতএব লাজু হেলেনের সিদ্ধান্তের সাথে মৌন একাত্মতা ঘোষণা করে পা বাড়ালাম সামনে। নাহ, ঐ পাইকারি জুতার দোকানটির পর, এই ব্লকের এই পাশটাতে আর কোনও স্থাপনা নেই। আছে যা এই এখানটার রাস্তার এ পাশে তা হলো, বেশ অনেকটা জায়গা জুড়ে পাতাহীন নেড়া গাছেরা শুধু।

সেই গাছগুলো দেখতে দেখতে এগুতে এগুতে ভাবছি, জুতার এই পাইকারি দোকানটা এখানে বড়ই বেমানান! পেছনে ফেলে আসা ব্লক দুটোতে যে সব সৈয়দ, খান, চৌধুরী বংশীয় দোকানপাঠ আর শপিং মল দেখে আসলাম, তাতে এখানে এরকম একটা সস্তা জুতার পাইকারি দোকান থাকাটা ব্যবসায়িক দিকে থেকেও যৌক্তিক না। আচ্ছা, এই পাইকারি দোকানের ক্রেতা কী তা হলে আমাদের ঢাকা শহরের এলিফ্যান্ট রোডের জুতার দোকানিরা নাকি?

সাথে সাথেই চিন্তাটি বাতিল হয়ে গেল। কারণ, প্রথমত মনে হল ঢাকার তাবৎ ব্যবসায়িরাতো যায় জানি গুয়াংজু তে। দূরত্ব আর খরচের বিবেচনায় বেইজিং থেকে জুতা নিয়ে তো তাদের পোষাবে না। এ পর্যন্ত আমার পরিচিত ব্যবসায়িদের কাউকেই কক্ষনো বলতে শুনিনি যে, তারা বেইজিং এ আসেন মালপত্র কেনার জন্য।

বাবা, বাবা ঐ যে দেখো, ওখানে মনে হচ্ছে মেট্রো স্টেশন আছে?’ এইমাত্র এই ঘোষণা দেয়া দীপ্রর তর্জনী অনুসরণ করে সামনের দিকে তাকাতেই দেখি, নেড়া গাছপালা সমৃদ্ধ রাস্তার এ পাশটার সামনের দিকের একটা জায়গায় ফুটপাতটি হঠাৎ বেশ চওড়া হয়ে বা পাশের সরল রাজপথটিকে ঠেলে আর বাঁয়ে সরিয়ে দিয়ে ছোটখাট একটা মাঠের আকার নিয়েছে যেখানটায়, সেখানটায় একটা আন্ডারগ্রাউন্ড সুড়ঙ্গ পথের মুখ দেখা যাচ্ছে!

ঐদিকেই লক্ষ স্থির রেখে সামনে এগুতে এগুতে এসময়ে অকারণে ডানে তাকাতেই মজার দৃশ্যটি চোখে পড়লো। হ্যাঁ, ডানদিকের গাছপালাসমৃদ্ধ ঐ অংশটাকে যেটিকে এখন পার্কের মতো মনে হচ্ছে এবং তাতে ঢোকার জন্য ঐখানে একটা রাস্তাও যে দেখতে পাচ্ছি ঐখানে একটা ইটালিয়ান সেলুন নজরে পড়লো! পরিষ্কার দেখছি ওইখানে একটা টুলের উপর একজন চায়নিজ বসে আছে। তার শরীরের উপরিভাগে জড়ানো দেখছি, ঐ রকম লাল রঙ্গয়ের এক টুকরা কাপড়, জড়াতো যা একসময় আমাদের দেশের শীলেরা মানে নাপিতেরা তাদের কাছে চুল কাটতে আসা কারো গায়ে। লালশালু জড়িয়ে বসে থাকা লোকটির সামনে ডাক্তারি এপ্রোন পড়ে মাথা কান একটা গোলাপি উলেন টুপিতে ঢেকে একজন চায়নিজ শীলকেও দেখা গেল, ব্যস্ত যে চুল কাটায়। বসে থাকা লোকটির পেছনের লোহার বেড়ায় ভাঁজ করে রাখা আছে ঘিয়া রঙের টাওয়েল একটা। আমাদের দেশে একসময় বিশেষত গ্রামের বাজারে দেখতে পাওয়া খোলা আকাশের নীচে এরকম একটি শীলের দেখা পাবো এইখানে একথা তো ভুলেও ভাবিনি। দ্রুতই তই একটা ছবি তুলতে তুলতে সবার উদ্দেশ্যে বললাম ঐ যে দেখো পাওয়া গেছে এখানে ইটালিয়ান সেলুন অব বেইজিং।

কোথায় কোথায় ইটালিয়ান সেলুন?’

আরে দূর কী বলছো! ঐ দিকে তো পার্ক।’ পুত্রদের উদগ্রীব জিজ্ঞাসার পিছু পিছু আসা তাদের মায়ের এই মন্তব্যের জবাবে, সবাইকে ইটালিয়ান সেলুনের আসল মাজেজা বুঝিয়ে দিতে দিতে অনতিদূরের সেই আন্ডারগ্রাউন্ড সুড়ঙ্গের মুখে এসে ওর ভেতরে ঢোকার জন্য থাকা নীচে নামার সিঁড়ির দিকে তাকাতেই পাশ থেকে অবাক বিস্ময়ে আর্তনাদ করে উঠলো অভ্র -‘বাবা, ঐ যে দেখো একজন হোমলেস। হাউ কাম দেয়ার সিটিং এন হোমলেস হিয়ার ইন বেইজিং!’

পুত্রের এই আর্তনাদ যার উদ্দেশ্যে সেই দিকে তাকিয়ে দেখি নিচে সিঁড়ির ল্যান্ডিঙয়ে লোকটা বসে আছে আমাদের জলচৌকির মাপের ও উচ্চতার একটা টুলে। পাশে রাখা একটা ব্যাগ। হাঁটুর উপর ঠেস দিয়ে একহাতে সে ধরে আছে একটা বাদ্যযন্ত্র। দেখতে ঐটিকে আমাদের দোতারার মতো মনে হলেও, তার অন্যহাতে বেহালার ছড়ের মতো একটা কিছু ধরা থাকতে দেখে মনে হল, ওটা হয়তো বিশেষ কোনও চায়নিজ বাদ্যযন্ত্র। বাদ্যযন্ত্রের চেহারায় মনে হচ্ছে ওটা হয়তো লোকটি নিজেই বানিয়েছে। বাদ্যযন্ত্রটির ঠিক নিচেই লোকটার সামনে আছে একটা ভিক্ষা সংগ্রহের কৌটা

ঠিক এসময় মূল রাস্তা থেকে গভীর তীব্র একটা শব্দ কানে আসার সাথে সাথে, দীপ্র চেঁচিয়ে উঠলো ‘অভ্র অভ্র, বাবা ঐ যে দেখো একটা ফেরারি যাচ্ছে। ফেরারি! ফেরারি! ব্ল্যাক ফেরারি!’

লেখক: ভ্রমণসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক

পূর্ববর্তী নিবন্ধনতুন শিক্ষাক্রম হবে : প্রতিযোগিতা নয় শিক্ষা হবে সহযোগিতায়
পরবর্তী নিবন্ধরাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়