তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এই রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু বিএনপি। এরা মানবতারও শত্রু। এদের প্রতিহত করতে হবে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাপ্তাহিক চাটগাঁর সংবাদ পত্রিকার ১১তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে এখন ইঁদুরের গর্তে ঢুকেছে। তাদের নেতারা গর্তের মধ্য থেকে একটু একটু করে তাকিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে, গাড়িতে চোরাগোপ্তা হামলা চালায়, মানুষের উপর হামলা চালায়, স্কুল–ঘর পুড়িয়ে দেয়, তারা ৩২ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছে। খবর বাসসের।
হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে দেশকে ধ্বংস করার জন্য বায়তুল মুকাররমে আগুন দেওয়া হয়েছিল। পবিত্র কোরআনে আগুন দেয়া হয়েছিল, শত শত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সাড়ে তিন হাজার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বহু ট্রেন–লঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। শতাধিক ড্রাইভারকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে বিএনপি–জামাত।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই অগ্নিসন্ত্রাসকে মোকাবিলা করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছি উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালেও সেই একই অপচেষ্টা হয়েছিল, তারা সফল হয়নি। এবারও দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনও হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে।
গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে যে দেশটা বদলে গেলো, মানব উন্নয়ন, সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ সমস্ত সূচকে আমরা যে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি, পাকিস্তান যে আজকে আমাদের দিকে তাকিয়ে হায়–হুতাশ করে, বাংলাদেশ কীভাবে তাদের পেছনে ফেলে এগিয়ে গেলো। আমরা মানব উন্নয়ন, সামাজিক ও স্বাস্থ্য সূচকে ভারতকেও পেছনে ফেলেছি, এমনকি মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকে আমরা অতিক্রম করেছি, সেই সত্যটা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতে হবে।
সমস্ত প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতাকে উপড়ে ফেলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে যে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলো সেই গল্পটাও গণমাধ্যমে আসা দরকার, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
সাপ্তাহিক চাটগাঁর সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাবেক রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সহ–সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, আমীর উদ্দিন চৌধুরী, প্রফেসর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর শিক্ষক প্রফেসর মইনুল ইসলাম, খায়রুল এনাম সুজন সভায় বক্তব্য রাখেন।











