রপাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একক প্রকল্প। এটি বাস্তবায়ন করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পরমাণু শক্তি কমিশন। এ প্রকল্পের আওতায় দুটি ইউনিট নির্মাণ করছে রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট। পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন করছে রোসাটমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান টিভিইএল ফুয়েল কোম্পানি। এতে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। ঋণসহায়তা হিসেবে রাশিয়া দিচ্ছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতিটি ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বিদ্যুৎ খাতকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকারী দেেেশর তালিকায় স্থান পেয়েছে। এটি বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে অনন্য মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।
পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত রূপপুর একটি জনপদ। ১৯১৫ সালে লর্ড হার্ডিঞ্জ পদ্মা তীরের ওই জনপদে একটি রেল সেতু নির্মাণ করেছিলেন; যা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নামে পরিচিতি। এটি তখন থেকেই অত্র অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ আর্থ–সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছে। ১৯৬১ সালে রূপপুরে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয় পাকিস্তান সরকার। ১৯৬৮ সালের দিকে ভূমি অধিগ্রহণসহ কিছু কাজ সম্পন্ন হয়। পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ২৬০ একর এবং আবাসিক এলাকার জন্য ৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ভূমি উন্নয়ন, অফিস, রেস্ট হাউস, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ও কিছু আবাসিক ইউনিটের নির্মাণ কাজ আংশিক শেষ করা হয়। সে সময় রূপপুরে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা থাকলেও স্বাধীনতা সংগ্রামের উত্তাল ঢেউ শুরু হলে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত বাতিল করে। স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে এর কাজ বেশিদূর অগ্রসর হয়নি। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রথমবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে প্রকল্পটি গতি পায়। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া রূপপুরে ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। এর ভিত্তিতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ নিউক্লিয়ার পাওয়ার অ্যাকশন প্ল্যান–২০০০ অনুমোদন করে। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়টি ছিল। এ লক্ষ্যে ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে অপরিহার্য কার্যাবলি সম্পাদন’ শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রাথমিক কার্যাবলি ও পারমাণবিক অবকাঠামো উন্নয়নের কার্যক্রম শুরু করা হয়। ২০০৯ সালের ১৩ মে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং রাশান ফেডারেশনের স্টে অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশন (রোসাটোম) এর মধ্যে ‘পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার’ বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরের বছর প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি জাতীয় কমিটি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ ও ৮টি সাবগ্রুপ গঠন করা হয়। ২০১০ সালের ১০ নভেম্বর জাতীয় সংসদে রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য সিদ্ধান্ত প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক ইউকিয়া আমানো বাংলাদেশ সফর করেন এবং রূপপুর পারমাণকি বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নে আইএইএ সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন দেশের মাত্র ৪৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল। নিয়মিত লোডশেডিংয়ে জনজীবন ছিল বিপর্যস্ত। বিদ্যুৎ খাতের এমন করুণ দশার কারণে বৃহৎ শিল্পগুলো যেমন একদিকে ধুঁকছিল, তেমনিভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়েও কোনো উদ্যোগ গ্রহণ সম্ভব ছিল না। কিন্তু মাত্র এক যুগের মধ্যে দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে সক্ষম হয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে ২০১৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরে দেশটির সঙ্গে রূপপুর প্রকল্পের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। একই বছর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প নেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর প্রথম ইউনিটের নির্মাণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। রূপপুর এলাকাটিকে একাধিক সমীক্ষার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের যথার্থতা যাচাই–বাছাইয়ের পর এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর এবং ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যথাক্রমে এই কেন্দ্রর প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লিপাত্র বা রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেন। বহু প্রতিকূলতা পেরিয়ে স্বপ্নের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি এখন দৃশ্যমান। দীর্ঘসময় পর পদ্মা তীরের ওই জনপদে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার স্মরকচিহ্ন হিসেবে নির্মিত হচ্ছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে নতুন এক দ্বার উন্মোচিত হয়েছে । কারণ এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ৩৩তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের সামগ্রিক কাজের ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হওয়ায় সম্প্রতি রাশিয়া থেকে জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান প্রকল্পে আনা হয়েছে। ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্প এলাকায় বাংলাদেশের কাছে ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন (রোসাটম) এর মহাপরিচালক আলেঙি লিখাচেভ। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসিও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। একটি স্বাধীন পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পৃথক আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ‘নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের দুর্যোগে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে দিকটা খেয়াল রেখে এ প্ল্যান্টের ডিজাইন প্রণয়ন এবং নির্মাণকাজ পরিচালনা করা হয়েছে। তাছাড়া ব্যবহৃত জ্বালানি ব্যবস্থাপনার জন্য রাশান ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি সই করা হয়েছে। রাশান ফেডারেশন এসব ব্যবহৃত জ্বালানি তাদের দেশে ফেরত নিয়ে যাবে। পারমাণবিক উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন উচ্চতর ও সংবেদনশীল প্রযুক্তিনির্ভর এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়ার সেরা কর্মকৌশল, বহু বছরের অভিজ্ঞতা এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তাকে কাজে লাগানো হয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, মূল্যসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ প্রাপ্তিই শুধু নিশ্চিত হবে না, বরং এর মাধ্যমে দেশে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনায় দক্ষ জনবল গড়ে উঠেছে। তাঁরা বিশ্ব নিউক্লিয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে অবদান রাখার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে সমর্থ হবে। এতে করে বাংলাদেশের আর্থ–সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এদেশর ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম–২৩৮ ও ইউরেনিয়াম–২৩৫ এ দুই আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়। খনিতে প্রাপ্ত আকরিকে প্রথমটি ৯৯.৩ শতাংশ থাকলেও দ্বিতীয়টি থাকে মাত্র ০.৭ শতাংশ। চুল্লিতে ফিউশন বিক্রিয়ায় অংশ নেয় মূলত ইউরেনিয়াম–২৩৫। জ্বালানিতে এর পরিমাণ ৫ শতাংশ পর্যন্ত থাকতে হয়। এ জন্য কারখানায় নানা প্রক্রিয়ায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা হয়। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত রাশিয়ার সাইবেরিয়ার নভোসিবিরস্ক কেমিক্যাল কনসেন্ট্রেটস প্লান্টে (এনসিপিপি) রূপপুরের জ্বালানি প্রস্তুত হচ্ছে। এটি রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রোসাটম নিয়ন্ত্রণ করে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করার জন্য ৭৫ টন ইউরেনিয়াম প্রয়োজন হবে। একবার জ্বালানি দেওয়ার পর ১৮ মাস নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এরপর এক–তৃতীয়াংশ ইউরেনিয়াম অর্থাৎ ২৫ টন নিউক্লিয়ার বর্জ্য তুলে নিয়ে সেখানে নতুন ইউরেনিয়াম রড দিতে হবে। এরপর চলবে আরও ১৮ মাস। এভাবে ১৮ মাস পরপর আংশিক জ্বালানি পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের দেশের বিদ্যুতের যে চাহিদা রয়েছে, তার অন্তত দশ ভাগ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পূরণ করতে সক্ষম হবে। এটি ৬০ বছর ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। তেজস্ক্রিয় জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়ামের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা চললেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ও নির্মাণ কৌশলের কারণে বিদ্যুৎ উপাদনের জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়ামের ব্যবহার দিন দিন নিরাপদ হয়ে উঠছে। তাছাড়া ইউরেনিয়াম আর্থিক দিক থেকে এলএনজি, কয়লা ও জ্বালানি তেলের চেয়ে সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব। জীবাশ্ম জ্বালানির চেয়ে ইউরেনিয়ামের জ্বলন শক্তি বেশি। এক কেজি ইউরেনিয়ামের জ্বালানি সক্ষমতা ৬০ টন ডিজেল ও ১০০ টন কয়লার সমান। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দূষণ সৃষ্টি করে কম। বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচও কমবে। এটি বাংলাদেশে ক্লিন এনার্জিও মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে। কয়লা ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কার্বন সালফার নির্গমনের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি করে যাচ্ছে। এ জন্যই পারমাণবিক শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন দীর্ঘমেয়াদি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। বাংলাদেশ আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। এই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আরেকটি পদক্ষেপ।
লেখক: শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।