ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতা মামলার আসামি হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এবং হাটহাজারী পৌরসভার ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এম. এ. শুক্কুরসহ (৫৬) ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরের দিকে র্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত বুধবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। হাটহাজারী পৌরসভার মাইজপাড়া এলাকার মৃত ছালেহ আহমেদের ছেলে শুক্কুর।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৯ অক্টোবর বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালে চট্টগ্রাম-খাগড়াছডি মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দুস্কৃতিকারীরা সরকারবিরোধী বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দিয়ে লাঠিসোঁঠা, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি এবং সাধারণ জনগণের মাঝে ভয়-ভীতির উদ্দেশ্যে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতামূলক কর্মকান্ড সৃষ্টি করে।
এ সময় ভিকটিম জিসান চৌধুরী (২৩) বাড়ি ফেরার সময় হাটহাজারী পৌরসভা মুন্সি মসজিদের সামনে পৌঁছালে হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এবং ৮ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্দুস শুক্কুর এবং অন্যান্য নাশকতাকারীরা ভিকটিমের পথরোধ করে এলোপাথাড়ি মারধর করে।
এছাড়াও অবরোধকারীরা ভিকটিম এবং আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে নাশকতাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে বিভিন্ন আলামত জব্দ করে। এ ঘটনায় ভিকটিম জিসান চৌধুরী বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানায় ৩৫ জন এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনাময় ৭০/৮০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে।
আজ দুপুরে র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার দৈনিক আজাদীকে বলেন, মামলার আসামি মো. আব্দুস শুক্কুরকে নগরের পতেঙ্গা থানাধীন দক্ষিণ পতেঙ্গা চরবস্তি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নগরের চকবাজার থানাধীন দামপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সীতাকুন্ড উপজেলার সাং-মধ্যম ইয়াকুব নগর এলাকার আবুল বাশারের ছেলে আলী আকবর (৩৮) ও চাদগাঁও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোরর্শেদ (৩৪) কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে আসছিল আলী আকবর।