সমুদ্র তীরে ভাঙন ঠেকাতে দেওয়া কংক্রিট ব্লকের ফাঁকে ফাঁকে সবুজ গালিচা পেতেছে সাগর লতারা, তার মাঝে ফুটে আছে গোলাপি–বেগুনি শত শত ফুল। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় বেড়ি বাঁধের ব্লকে সাগর লতার এমন বাহারি আয়োজন নজর কাড়ছে পথ চলতি মানুষের। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় দুই দশক পর পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় সাগর লতার দেখা মিলেছে। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের আগে এই এলাকায় নিয়মিত সাগর লতার দেখা মিলত। তবে ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্ককরী ঘূর্ণিঝড়ে চট্টগ্রাম শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়। এরপর থেকে পতেঙ্গা সৈকতে আর সাগর লতার দেখা মেলেনি। খবর বিডিনিউজের।
আউটার রিং রোডের ঢাল বেয়ে সেই লতা ছুঁয়েছে টোল রোডও। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল–আমীন বলেন, ‘সাধারণত সাগর তীরে কোনো অংশে যখন নতুন বালিয়াড়ি হয় তখন সাগর লতা জন্মায়। বালিয়াড়ি ঘিরে সাগর লতা বাড়তে থাকে এবং তা বালিয়াড়িকে স্থায়ীত্ব দেয়। কঙবাজারসহ অন্যান্য সৈকতে এমনটাই দেখা যায়।’
উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ এবং বাংলাদেশের কঙবাজার সমুদ্র সৈকতে সাগর লতার দেখা মেলে। কোভিড–১৯ সংক্রমণের সময় লকডাউনের অবকাশে কঙবাজার সৈকতে নতুন সাগর লতার বিস্তার দেখা গিয়েছিল। সাগর লতার বেগুনি ও গোলাপি–বেগুনি ফুল প্রজাপতি, মৌমাছি আর বিভিন্ন কীট পতঙ্গকে আকৃষ্ট করে। ছড়ানো সবুজ লতা মাটিকে সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা করে, যাতে মাটি থেকে অতিরিক্ত পানি বাস্পীভূত না হয়। এতে মাটির নিচের উপকারি ব্যাকটারিয়াসহ বিভিন্ন প্রাণির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে সাগর লতা।