বিএনপির ডাকা ৬ষ্ঠ দফা অবরোধের প্রথম দিন গতকাল নগরে যানবাহন চলাচল ও জনজীবন ছিল স্বাভাবিক। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ছিল যানজট। চট্টগ্রাম–কক্সবাজার, চট্টগ্রাম–ঢাকা মহাসড়কেও গণপরিবহনসহ ব্যক্তিগত যান, পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ও কাভার্ডভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে নগর থেকে দূর পাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। মহাসড়কে চলাচল করা গণপরিবহনগুলো ছিল স্বল্প দূরত্বের এবং অভ্যন্তরীণ জেলার যান। এছাড়া স্বাভাবিক ছিল ট্রেন চলাচল।
এদিকে অবরোধ চলাকালে নগরের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে অবরোধের সমর্থনে বিভিন্ন জায়গায় ঝটিকা মিছিল করেছে বিএনপি। অবরোধকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দলটির ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান নগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইদ্রিস আলী।
এদিকে অবরোধের সমর্থনে নগর বিএনপির উদ্যোগে দুপুরে চান্দগাঁও কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান মিছিলের নেতৃত্ব দেন।
এসময় আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপির একদফা আন্দোলনের মধ্যে আরেকটি একতরফা পাতানো নির্বাচনের অপচেষ্টা করছে সরকার। মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন আওয়ামী নির্বাচনি তফসিল বাস্তবায়ন করতে জোরেশোরে মাঠে নেমেছে। ভোটাধিকারের দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে পুলিশ।
আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী মত দমনে আওয়ামী লীগ এখন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। চট্টগ্রামে বিএনপির বলিষ্ঠ নেতাকর্মীদের বেছে বেছে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিএনপির সকল প্রবীণ নেতাদের জেলে আটকিয়ে রেখেছে। অনেককে মিথ্যা মামলায় সাজাও দিয়েছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে এই সকল বিরোধী দলের নেতারা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুক্ত।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুব আলম, আনোয়ার হোসেন লিপু, চান্দগাঁও থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়াসহ নেতৃবৃন্দ।
এদিকে মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ এর নেতৃত্বে মুরাদপুরে পিকেটিং ও মিছিল হয়েছে। নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর নেতৃত্বে প্রবর্তক মোড়, শেভরন এলাকায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।